ইয়াওয়াল কি কামাল
ইয়াওয়াল? কোথায় এই ইয়াওয়াল? কি এমন রাজকার্য করল এই ইয়াওয়াল?
ইয়াওয়াল হল মহারাষ্ট্রের জলগাওঁ জেলার এক জায়গা – খুবই ছোটখাটো এক নগণ্য জায়গা। তাই ইয়াওয়ালের নাম আপনার না শোনারই কথা। তবে ভুসাওয়ালের নাম আপনি হয়তো শুনেছেন। আর আপনি যদি নিয়মিত গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস বা মুম্বাই মেল’এ চড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ভুসাওয়ালের পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই। হাওড়া-মুম্বাই রেলপথের এই হেভিওয়েট স্টেশনে সব ট্রেন’কেই সেলাম ঠোকার জন্য দাঁড়াতে হয়। এই ভুসাওয়াল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে হল ইয়াওয়াল।
জায়গা হিসেবে ইয়াওয়াল নগণ্য হলেও, যাঁরা ইতিহাস নিয়ে নাড়াচড়া করেন তাঁদের ডাইরিতে ইয়াওয়ালের নাম পাওয়া যায়। তার কারণ হল ইয়াওয়াল দুর্গ। এই দুর্গকে অনেকে আবার নিম্বালকার দুর্গ বলেও উল্লেখ করেন। কিন্তু সম্প্রতি ইয়াওয়ালে এমন কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে যেগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানলে, আপনিও সম্ভবত ইয়াওয়ালের নাম আপনার ডাইরিতে লিখে নেবেন যদি হরপ্পা সভ্যতা আপনার আগ্রহের বিষয় হয়। জানি আপনি এই ভেবে অবাক হচ্ছেন যে কোথায় হরপ্পা সভ্যতার আঁতুড়ঘর সিন্ধু নদের অববাহিকা আর কোথায় মহারাষ্ট্রের জলগাওঁ জেলা – এতদূর বিস্তৃত হয়েছিল কি হরপ্পা সভ্যতা? কিন্তু প্রত্নতত্ত্ববিদরা যে দাবি করছেন যে হরপ্পা সভ্যতার শেষ পর্যায়ের মানুষের বসতি ছিল এই ইয়াওয়ালে।
হয়েছে কি ইয়াওয়াল দুর্গের ঠিক মুখে আছে এক ঢিবি। তা যে কোন কারণেই হোক, প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেই ঢিবি খুড়ঁতে শুরু করেছিলেন এই দিন কয়েক আগে। আর ঢিবি খুঁড়ে তাঁরা পেয়েছেন মাটির তৈরী জিনিসপত্র যেগুলির বয়স তাঁদের মতে ৩০০০ বছর। এর ভিত্তিতে তাঁরা দাবি করছেন যে হরপ্পা সভ্যতার শেষ পর্যায়ে ইয়াওয়ালে মানুষের বসতি ছিল। সব ঐতিহাসিক যে এই দাবি মেনে নিয়েছেন এমন নয়। অনেকে বলছেন যে মাটির তৈরী এইসব জিনিসপত্র নাকি সাতবাহনদের সময়কার।
এই বিষয়ে আরও জানতে চাইলে পড়ে নিন নিচের দেওয়া লিংকের খবরগুলো।
– গৌতম মুখার্জী
https://www.knocksense.com/mumbai/discoveries-ivc-medieval-era-maharashtra