হরপ্পীয় সমাজে নারীর স্থান
হরপ্পীয় সমাজে নারীর স্থান কেমন ছিল?
হরপ্পীয় সভ্যতার অধিবাসীরা ছিল মিশ্র মানুষ। এই দেশের প্রথম জনগোষ্ঠী আফ্রিকা থেকে আগত ‘আন্দামানি শিকারি-সংগ্রাহক’রা। দীর্ঘদিন ওই শিকারি-সংগ্রাহকরা দক্ষিণ এশিয়াতে নিরঙ্কুশভাবে থেকেছে। এরাই আদি ভারতীয়। পরে প্রায় ১২ হাজার বছর আগে আসে প্রাচীন ইরান থেকে আরেক শিকারি-সংগ্রাহক জনগোষ্ঠী। দেশের আদি ‘আন্দামানি শিকারি-সংগ্রাহক’দের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে এরা পরে শুরু করে কৃষি ও পশুপালন। গড়ে তোলে হরপ্পীয় সভ্যতা। ভারতবর্ষে সেই প্রথম তৈরি হয়েছে শহর, বাঁধানো সোজা রাস্তা, জেটি, বলদে টানা গাড়ি। গড়ে উঠেছে পুরোদস্তুর নগরসভ্যতা। সিন্ধু নদের তীরে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে চাষবাস করে ইঁট-বাঁধানো শস্যাগারে মানুষ ফসল তুলে রেখেছে। মহিষ, ষাঁড়, ছাগলকে গৃহপালিত করেছে। তখন মানুষ চাষের কাজে হালের ব্যবহার হয়েছে। হাল বা লাঙল ভারতীয় আদিম কৃষিযন্ত্র।
এখানে একটা কথা পরিষ্কার করে বলা ভালো। হরপ্পীয় সভ্যতায় শহরকে ঘিরে রেখেছিল গ্রাম। ওই সভ্যতা আদতে যতটা নাগরিক ততটা গ্রামীণও বটে। গ্রামে থাকত অধিকাংশ মানুষ, তারা যোগান দিত খাদ্যের। হাল বা লাঙল ব্যবহার ছিল মূলত পুরুষের কাজ। নারী হয়তো বীজ বুনতে সহায়তা করত। ফসল কাটতে সাহায্য করত। তাই উৎপাদন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল পুরুষের হাতে।
হরপ্পীয়রা উদ্বৃত্ত ফলন বিকিকিনি করেছে। তারা তৈরি করেছে সুন্দর শিল্পদ্রব্য, অলঙ্কার। সে সব বিক্রয় করেছে অন্য জনগোষ্ঠীর কাছে, সুদূর ইউফ্রেটিস-টাইগ্রিস নদীর তীরে মেসোপটেমীয়দের কাছে।
হরপ্পীয় সভ্যতার সঙ্গে এশিয়ার অন্য অংশের যোগাযোগ
এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করতে হবে সেই সমাজে নারীর স্থান। নারীদের কী কী পেশা ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। তবে ওই অঞ্চলে পাওয়া গেছে এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত পৃথিবীর প্রথম রঞ্জিত সুতির কাপড়ের টুকরো। সেখানে প্রাপ্ত প্রচুর পরিমানে তকলি থেকে বোঝা যায়, হাতে সুতো কাটায় অনেকে যুক্ত ছিল। সম্ভবত নারীরা সুতো তৈরি ও বয়ন শিল্পে যুক্ত ছিল। হয়তো হাতে সুতো কাটা সেই সময়ে নারীর গৃহস্থালির কাজের মধ্যেই পড়ত।
টেরাকোটার প্রত্নবস্তু
হরপ্পীয় সভ্যতায় পোড়া মাটির শিল্প দ্রব্যের মধ্যে বহুল পরিমাণে নারী, পুরুষ, পশু, গাড়ি ও অন্যান্য বস্তু পাওয়া গেছে।
যে নারীমূর্তিগুলি হরপ্পীয় সভ্যতায় পাওয়া গেছে, তার অনেকগুলোতেই নারীর লিঙ্গ বৈশিষ্ট্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অপরিস্ফুট স্তন, স্তনগুলিতে স্তনবৃন্তের অভাব, বিরল যৌনাঙ্গ নারীকে জায়া ও জননীর ঊর্ধ্বে কোনো এক নিজস্ব অবস্থান দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করি, ১০.৩ সেমি দীর্ঘ ব্রোঞ্জের ‘নৃত্যরতা নারী’র মূর্তিটি। তার ডান হাতের মুঠি পিছনে নিতম্ব স্পর্শ করেছে, আর আজানুলম্বিত বাঁ হাত বাঁ পায়ের ওপরে এলিয়ে রয়েছে। নৃত্যরতা ছিল কিনা বলা মুশকিল, তবে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, নারীর দাঁড়াবার দৃঢ় ভঙ্গি, লাবণ্যময় আবেদন। মূর্তিটি নগ্ন, কিন্তু তাতে কামোদ্দীপনা পাওয়া যায় না, আছে এক কিশোরীর সারল্য।
‘নৃত্যরতা নারী’র মূর্তি
এবারে আসা যাক, এই সভ্যতার এক টেরোকোটা শিল্পকর্ম বিষয়ে। তৃতীয় সহস্র পূর্বাব্দের টেরোকোটা ষাঁড়ের আকৃতির ‘গরু-নৌকা’ পাওয়া গেছে সিন্ধু উপত্যকার উত্তরের মেহেরগড়ের দিকে। এতে দেখা যায়, ষাঁড়ের আকৃতির একটি যানের পেছনের দিকে ছাউনির ভেতর একটি উঁচু আসনে বসে আছে এক নারী। তার দুই পাশে আছে দুইজন করে চারজন পুরুষ অনুচর। সামনে খোলা জায়গায় দুই সারিতে বসে আছে চারজন নারী ও চারজন পুরুষ। অর্ধনগ্নভাবে ওই নারীরা বসে আছে। অথচ পুরুষরা পোশাক পরে আছে। সিংহাসনে বসা নারী অন্যদের চাইতে প্রায় ৩০ শতাংশ অধিক দীর্ঘ। তার দেহে সামান্য বক্ষবন্ধনী ছাড়া আর কোনো পোশাক নেই। অন্যান্য নারীরাও পুরুষদের থেকে সামান্য দীর্ঘ। সিংহাসনে বসা নারীর পরিচয় আমরা জানি না। অন্যদের সঙ্গে দৈহিক আকারগত তুলনায় মনে করা যেতে পারে ইনি সম্ভবত রাণী অথবা পুরোহিত পদমর্যাদার কেউ ছিলেন। স্পষ্টতই তিনি উচ্চ সম্মানে সমাজে অধিষ্টিত এক নারী। টেরাকোটা শিল্পকর্মটি সেই সময়ে নারীর ক্ষমতায়নের এক নিদর্শন। শুধু যে তিনি উঁচুতে বসে আছেন তাই নয়; তার চোখ, মাথার উষ্ণীষ, সঙ্গীদের ভঙ্গিমা বুঝিয়ে দেয় এই নারী বিশেষ জন, এই নারী ক্ষমতাশালী।
ষাঁড়ের আকারে পোড়ামাটির নৌকা এবং মহিলা মূর্তি। প্রাপ্তিস্থান কোট ডিজি, সময়কাল ২,৮০০-২,৬০০ সাধারণ পূর্বাব্দ
কিছু ছিল মাতৃমূর্তি, তাদের ছিল অতিরিক্ত বড়ো স্তন। তাদের পুজো করা হত কী-না তা পরিষ্কার করে বলা যায় না।
মাতৃমূর্তি?
একটি সিলে পিপুল গাছে এক দেবীমূর্তি পাওয়া গেছে, তাকে উপাসনা করছে এক পুরুষ উপাসক। আর সাতজন নারী নিচে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকে মনে করেন এই সাত জন হল সাত নারী পুরোহিত। যতদিন না সিলের লিপির অর্থ উদ্ধার করা যায় এগুলির ব্যাখ্যা একেকজন একেক রকম দেবেন।
পিপুল গাছে এক দেবীমূর্তি?
রাখিগড়ির ওই নারী
রাখিগড়ি ছিল হরপ্পীয় সভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ নগর। এর অবস্থান হল উত্তর-পশ্চিমে হরিয়ানাতে। রাখিগড়ি আয়তনে মহেঞ্জোদাড়ো বা ধোলাভিরার থেকে ছোট ছিল না। সেখানে ৪.৫ হাজার বছর আগেকার ৬২টি সমাধিতে সম্পূর্ণ বা আংশিক ফসিল পাওয়া গেছে। রাখিগড়ির কিছু দেহাবশেষ ডিএনএ বিশ্লেষণের অনুপযুক্ত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বহু প্রচেষ্টার পরে বিজ্ঞানীরা এক সমাধি থেকে একটি নারী দেহাবশেষের ডিএনএ সিকোয়েন্স করে ওই নারীর জিনোমিক প্রোফাইল তৈরি করেছেন।
এই নারীর অটোজোমাল ডিএনএ বিশ্লেষণ করে কিছু তথ্য মেলে। আজকে ডিএনএ বিশ্লেষণ পদ্ধতি হয়ে গেছে অনেক উন্নত। তার সাহায্যে বলা সম্ভব হয়েছে যে, প্রায় ১২ হাজার বছর আগে প্রাচীন ইরান সম্পর্কিত জনগোষ্ঠী পূর্ব দিকে মাইগ্রেট করতে শুরু করে। তখনও কৃষিকাজ ওই অঞ্চলে শুরু হয়নি। তারা ছিলশিকারি-সংগ্রাহক। সেই সময়ে সিন্ধু উপত্যকায় ছিল ভারতের আদি শিকারি-সংগ্রাহকরা, যাদের বলা যায় ‘আন্দামানি শিকারি-সংগ্রাহক’। দুই জনগোষ্ঠীর মিশ্রণ ও মিলন যে হয়েছিল তার প্রমাণ রয়েছে রাখিগড়ির নারীর ফসিলে। সেই নারীর পূর্বসূরী ছিল মূলতঃ ‘প্রাচীন ইরান থেকে আরেক শিকারি-সংগ্রাহক জনগোষ্ঠী’, আবার তার সঙ্গে অল্প পরিমাণে মিশ্রিত হয়েছিল ‘আন্দামানি শিকারি-সংগ্রাহক’ জিন।
১২ হাজার বছর আগে ইরান-সম্পর্কিত শিকারি-সংগ্রাহকরা ওই অঞ্চলে এসেছে, তবুও ৪.৫ হাজার বছর আগেররাখিগড়ির ওই নারীর দেহে কেন মূলতঃ ‘প্রাচীন ইরান-সম্পর্কিত শিকারি-সংগ্রাহক’ জিন পাওয়া গেছে? কেন ‘আন্দামানি শিকারি-সংগ্রাহক’ জিন তুলনায় অল্প মিলেছে?
সম্ভবত রাখিগড়ির ওই নারী (জেনেটিক আইডেন্টিফিকেশন কোড I6113) সাধারণ নাগরিক ছিলেন না; তিনি ছিলেন বিশেষ নারী। মনে রাখতে হবে, ওই নারীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে ঐতিহ্যপূর্ণ আনুষ্ঠানিক সমাধি থেকে। তার পূর্বপুরুষ সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে মিশ্রিত হয়েছে সীমিতভাবে, নিয়ন্ত্রিতভাবে। তারা হয়তো ছিল হরপ্পীয় সভ্যতার সম্ভ্রান্ত ও অভিজাত অংশ।
অর্থাৎ তার পরিবার ও তিনি হয়তো ছিলেন হরপ্পীয় সভ্যতার সম্ভ্রান্ত ও অভিজাত অংশের মানুষ। সম্ভবত সমাজে নারীর স্থান নির্ভর করত তার জন্মের ওপরে।
পুরোহিত রাজা
মহেঞ্জোদাড়োর ‘পুরোহিত রাজা’-র আবক্ষ মূর্তি
আবার মহেঞ্জোদাড়োর ‘পুরোহিত রাজা’র যে আবক্ষ মূর্তি পাওয়া গেছে তার প্রতিকৃতির সঙ্গে ‘আন্দামানি শিকারি-সংগ্রাহক’দের মুখের আদল ততটা মেলে না। বরং দেখে মনে হয়, ‘পুরোহিত রাজা’ যেন প্রধানত ‘প্রাচীন ইরান-সম্পর্কিত শিকারি-সংগ্রাহক’-এর উত্তরসূরী। রাখিগড়ির নারীর ডিএনএ বিশ্লেষণের তথ্য ও পুরোহিত রাজার মুখের আদল, এই দুইয়ে মিলে একটা সম্ভাবনা তৈরি করে। সম্ভবত হরপ্পীয় সভ্যতার কর্তৃত্ত্ব ছিল ‘প্রাচীন ইরান-সম্পর্কিত শিকারি-সংগ্রাহক’-এর উত্তরসূরীদের হাতে।
পরিশেষে
সম্ভবত সাধারণ নারী ঘরসংসার করে সুতো কেটে বস্ত্র বয়ন করত। নারী সম্ভবত বাজারে বিকিকিনিতে অংশ নিত। কোনো কোনো বিশেষ নারী ক্ষমতাশালী হয়ে আধিপত্য করত।
আদি শিকারি সংগ্রাহকের জীবনে ছোট পশু শিকার ও সংগ্রহ করার ফলে নারী উৎপাদন ব্যবস্থায় যতটুকু গুরুত্ব পেত ধীরে ধীরে হয়তো তার অবমূল্যায়ন ঘটেছিল। তবে প্রাণীর বিবর্তন যেমন একরৈখিক নয়, সমাজের বিবর্তনও একমাত্রিক নয়। হরপ্পীয় সভ্যতা যেন এক ক্রান্তিকালীন সময় পার করেছে।
ধীরে ধীরে উৎপাদন ব্যবস্থায় যেটুকু স্থান পূর্ববর্তী শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ ব্যবস্থায় ছিল পরবর্তীকালে নারী তাও হারাল।
তথ্যসূত্র
- Vasant Shinde et al., “Archaeological and anthropological studies on the Harappan cemetery of Rakhigarhi, India,” PlosOne, February 21, 2018
- Vasant Shinde et al., “An Ancient Harappan Genome Lacks Ancestry from Steppe Pastoralists or Iranian Farmers,” Cell, 179(3), (2019):729-735
- Irfan Habib, “A People’s History of India 2 – The Indus Civilization,” Tulika Book, Paperback, Chapter 2, (2002)
- Shinde VS, Kim YJ, Woo EJ, Jadhav N, Waghmare P, Yadav Y, Munshi A, Chatterjee M, Panyam A, Hong JH, Oh CS, Shin DH. Archaeological and anthropological studies on the Harappan cemetery of Rakhigarhi, India. PLoS One. 2018 Feb 21;13(2):e0192299. doi: 10.1371/journal.pone.0192299.
- Massimo Vidale, “The lady of the spiked throne The power of a lost ritual,” Department of Asian and North American Studies, Eural Gnutti S.P.A, Trieste (2011)
দারুন ভালো লাগলো ! হরপ্পান সভ্যতার স্মৃতি চিহ্ন – সীল , গয়না , মূর্তি , খেলনা , দেহাবশেষ, প্রাচীন সমাধি , সঠিক মানে-না-বোঝা স্থাপত্য ইত্যাদি সবসময়েই কল্পনাকে উসকে দেয়। কিন্তু নারী মূর্তির এই সুন্দর যুক্তিগ্ৰাহ্য বিশ্লেষণ অজানা বেশির ভাগ মানুষের কাছেই। অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর নিবন্ধের জন্য।
এই নিবন্ধ লিখেও আমার সংশয় ছিল। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। ধন্যবাদ নেবেন।
হরপ্পা মোহাঞ্জোদারো সভ্যতার পোড়া মাটির নিদর্শন এবং পিপুল গাছের পাতার মাঝখানে ব্রোঞ্জের নারীমূর্তি,অর্ধ উর্ধাঙ্গ পুরুষ মূর্তিটির সাথে বর্তমানের গৌতম বুদ্ধের ধ্যানরত মূর্তির সাথে মিল দেখা যায়। গৌতম বুদ্ধের যে কাপড় পেরেছেন তা বাঁ দিক থেকে ডান দিকের কোমরে এসেছে,মাথার চুলের শৈল্পিক আকৃতির হুবহু মিল পাওয়া যায়। বৌদ্ধ যুগে পিপুল গাছের বিভিন্ন শৈল্পিক আকৃতির সাথে হরপ্পা মোহাঞ্জোদারো সভ্যতার সাথে মিল পাওয়া যায়। বাংলা তথা বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার গুলিতে আঠাশ বুদ্ধমূর্তি দেখা যায়। বুদ্ধ গাথা এবং সুত্ত থেকে যেমন যে চ বুদ্ধা অতীতা চ যে বুদ্ধা অনাগতা পচ্চুপ্পন্না চ এ বুদ্ধা অহং বন্দামি সব্বদা নথ্থি মে সরনং অয়ং বুদ্ধ মে সরনং বরনং এতেন সচ্চ বজ্জেন হোতুতে জয় মঙ্গলং তদ্রুপ ধম্ম ও সঙ্ঘ।এর অর্থ আতীতেও বুদ্ধ,ধম্ম, সঙ্ঘ ছিল আগামীতে আসবে এবং বর্তমানে যা আছে তাই আমার স্মরণীয় ও বরণীয় এছাড়া আমার আর কোনো স্মরণ বরন নেই এটাই সত্য আর এতেই মঙ্গল। বৌদ্ধ সাহিত্য গৌতম বুদ্ধের আঠেরো বছর বয়সে সঙ্ঘে প্রবেশ এবং রোহিনী নদীর জল বন্টন নিয়ে সাক্য ( শাক্য নয় বৌদ্ধ সাহিত্যের প্রাক্কালে শ,ষ,ক্ষ,ঋ,রফলা ,রেফ আদি ছিল কি না সন্দেহ আছে) এবং কোলিয়দের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে সুকিতি ( সিদ্ধার্থ নাম ছিলো কি না যেহেতু ঋ,রফলা , রেফ ছিল না! )র মতামত চাইলে তিনি সম বন্টনের পক্ষে থাকায় তাঁকে বাধ্যতামূলক পরিব্রাজনে যেতে হয় । আর্রযপূর্ব হরপ্পা মোহাঞ্জোদারো সভ্যতায় হরফ এবং লিপি পাওয়া যায় , সম্রাট অসোকের সিলালিপি থেকে পালি পাকিত ভাষা এবং ধম্ম লিপি যা নাকি হরপ্পা মোহাঞ্জোদারো সভ্যতায় ছিল তা নিয়ে নানান তথ্য উঠে আসার পর Early Indians by Tony Joseph, Ashoka by Charles Allen, Sanskrit Literature of Indian History by S N Dasgupta সহ অসংখ্য তথ্য উঠে আসার পর হিন্দু মিথলজি দশম অবতার মতে সপ্তম অবতার শ্রীরামচন্দ্র, অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণ এবং নবম অবতার গৌতম বুদ্ধ যিনি যুক্তি মতে বর্তমান চলতি অবতার হওয়াটা স্বাভাবিক যেহেতু দশম অবতার কল্কি এখনও আসেনি। আবার গোরখপুরের গীতা প্রেসের শ্রীমদ্বাল্মীকিয়রামায়ণ এর অযোধ্যা কান্ডের, নবাধিকশততম সর্গের এবং চৌত্রিশতম শ্লোকে শ্রীরামচন্দ্রের মুখে গৌতম বুদ্ধের নাম উল্লেখ কি করে বিক্ষাৎ মহাকাব্য রচয়িতা বাল্মীকি করলেন! আবার গীতার যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত…………. শ্লোকের সাথে বঙ্কিম রচনাবলী সাহিত্য সমগ্র-র’সাম্য’বিবিধ লোকোরহস্য, রামকৃষ্ণ মিশনের তদানীন্তন মঠাধ্যক্ষ স্বামী রঙ্গনাথানন্দজী মহারাজের ভগবান বুদ্ধ এবং আমাদের ঐতিহ্য গ্রন্থের সেই কালটি ছিল অন্ধকারময় যুগ আবার গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা,প্রেম , ভালোবাসার জন্য আলোর যুগ তথ্যগুলো পাওয়ার পর প্রচন্ড দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।এসব থেকে সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হতে কৃত্রিম মেধা এবং বিশ্বের সমস্ত প্রাজ্ঞ পন্ডিতদের সমাবেশে সত্যকে উন্মোচন করা মনে হয় খুবই প্রয়োজন! আপনার এবং সকলের কি মত ?