পাথরের বয়াম নাকি কবর?
পাথরের বয়াম ব্যবহার করা হতো কবর হিসেবে? এই দেশে? কোনো এক সময়ে এই দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বয়ামের মধ্যে মৃত মানুষের দেহাস্থি রাখা হতো?
২০২২ সালের ২৮ শে মার্চ ইতিহসের গবেষকরা আসামের ডিমা-হাসাও জেলায় বিশালাকার রহস্যময় কিছু বয়াম নিয়ে ‘জার্নাল অফ এশিয়ান আর্কিওলজি’-তে এক পেপার প্রকাশ করেছেন। এই বয়ামগুলো সম্ভবত প্রাচীন মানুষের কবর হিসাবে ব্যবহার করা হতো। বহু বেলে পাথরের বয়াম আসামের চারটি জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাওয়া গেছে। কিছু বয়াম লম্বা ও নলাকার, অন্যগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণ মাটিতে পুঁতে আছে।
এর আগে লাওস ও ইন্দোনেশিয়ায় একই ধরনের পাথরের পাত্র পাওয়া গেছে।
গবেষণা দলের সদস্য অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন গবেষক নিকোলাস স্কোপাল বলেন,
“আমরা এখনও জানি না যে, কে বা কারা এই বিশালাকার জার তৈরি করেছে, তারা কোথায় থাকত। এটা একটা রহস্যের বিষয়।”
যদিও দৈত্যাকার জারগুলি কীসের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে গবেষকরা মনে করেন যে তারা ‘সম্ভবত সমাধি সংক্রান্ত কাজের সাথে যুক্ত ছিল’। ওই দিকের নাগা সম্প্রদায়ের মধ্যে আসামের বয়ামগুলি নিয়ে কিছু গল্প প্রচলিত আছে। সেগুলো থেকে একসময়ে দাহ করা দেহাবশেষ, পুঁতি এবং অন্যান্য বস্তু খুঁজে পাওয়া গেছে বলে ওরা বলে। অবশ্য এখন এই বয়ামগুলোর ঢাকনা খোলা এবং ভিতরে আর কিছু নেই।
৪০০ সাধারণ পূর্বাব্দের প্রায় ৭০০ বয়াম আসামের ৭ থেকে ১১টা স্থানে পাওয়া গেছে। অবশ্য গবেষকরা মনে করেন, ভালো করে খুঁজলে আরও অনেক এই ধরণের বয়াম পাওয়া যাবে। লাওস ও আসামের এই বয়ামগুলো কিন্তু প্রায় সমসাময়িক। দুই জায়গায় পাওয়া বয়ামের গঠনে মিল আছে। যদিও আকার এবং আকৃতিতে কিছু বিভিন্নতাও রয়েছে।
এই দেশের আনাচেকানাচে কত মানুষের কত ভিন্ন ধরণের সমাজের ইতিহাস যে লুকিয়ে আছে! লক্ষ্য করার বিষয় হল, ওই বয়াম (সম্ভবত তার সঙ্গে সংযুক্ত সংস্কৃতি) সঙ্গে কিন্তু ভারতের অন্য অংশের এখনও কোন যোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওদের যোগ আছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে। যেমন ওই অঞ্চলে পুরুষের ডিএনএ-তেও লাওস, কম্বোডিয়ার প্রভাব প্রকট।
খবরটি বিস্তারিত পড়তে, চোখ রাখতে পারেন নিচের লিংক-এ ।
Researchers-discover-mysterious-giant-jars-in-india
– মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়