সম্পাদকীয়

অতিমারি, লকডাউন ও বাঙালির বেঁচে থাকার লড়াই
নির্বাচনোত্তর পশ্চিমবঙ্গে ১৫-মে থেকে আবার অতিমারি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন শুরু হয়েছে। একদিকে অতিমারির দাপট, অন্যদিকে তার প্রতিরোধে আংশিক বা পুরো লকডাউন এই রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে।
একদিকে কোভিড-১৯ এর দাপটে মৃত্যু মিছিল, অন্যদিকে দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষের বাঁচার আপ্রাণ প্রচেষ্টা। তারমধ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়াও গতি হারিয়েছে।
শোকগ্রস্ত মানুষ হাহাকার নিয়ে বেঁচে আছেন। অনেকের বাড়ির একমাত্র রোজগেরে মানুষ অতিমারিতে প্রাণ হারিয়েছেন। যারা শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন দীর্ঘ অন্তরীণ অবস্থায় থেকে তাদেরও অনেকে মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত। আপামর ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।
‘ইতিহাস তথ্য ও তর্ক‘ ফেসবুক গ্রুপ ও ‘ইতিহাস আড্ডা’ পোর্টালের লেখক ও পাঠক বর্গও এর ছোঁয়া বাঁচাতে পারেন না। আমরা হারিয়েছি আমাদের গ্ৰুপের নিয়মিত লেখক শেখর মণ্ডলকে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে তিনি কল্যাণীতে মারা গেছেন।
আমাদের বিশাল পাঠকবৃন্দের মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। আবার অনেকে সেরেও উঠেছেন।
তবে একদিন লকডাউন উঠবে, একদিন অতিমারি শেষ হবে। তারপর? মানুষ মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে তো?
শতাব্দীর এই ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে আমাদের সীমাবদ্ধ সামর্থে আমরা চেষ্টা করব সকল পাঠককে সুস্থ জীবনের খোঁজ দিতে। পোর্টাল ও ফেসবুক গ্রুপে ইতিহাসের প্রবন্ধ পড়ব, ইতিহাস নিয়ে আড্ডা দেব, সুস্থ বিতর্ক করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচব। এই মঞ্চ আবার একদিন বহু মানুষের মিলন, আলোচনা ও বিশ্লষণের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়াবে।
সম্পাদকমণ্ডলীর তরফ থেকে সকল পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আমাদের আন্তরিক সহমর্মিতা। পাশে আছি, পাশে থাকুন।