খাঁটি বলে প্রমাণিত হল এতকাল জাল বিবেচিত হওয়া রোমান স্বর্ণ মুদ্রা – স্বীকৃত হল হারানো সম্রাটের অস্তিত্ব
দীর্ঘকাল প্রামাণিক বলে চিহ্নিত কোনও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান আদতে জাল, এমন খবর আমরা মাঝেই মাঝেই পাই। বিশেষ করে প্রাচীন মুদ্রার ক্ষেত্রে এইপ্রকার সংবাদ হরদম পাওয়া যায়। কিন্তু সম্প্রতি অধ্যাপক পল পিয়ার্সনের নেতৃত্বে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং ইউনিভার্সিটি অফ গ্লাসগোর গবেষকদের একটি রোমান মুদ্রা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফলে উঠে এসেছে সম্পূর্ণ উল্টো খবর। এতদিন ধরে জাল হিসেবে বিবেচিত হওয়া এই রোমান মুদ্রাটিকে তাঁরা ঘোষণা করেছেন আসল বলে। এর ফলে অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন একজন রোমান সম্রাটের। রোমান সাম্রাজ্যের তৃতীয় শতকের বিপর্যয়ের সময়ে দানিউবের উত্তরে ডেসিয়া প্রদেশের রোমান ইতিহাস রচনায় খুলে গেছে এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বার।
আলোচ্য মুদ্রাটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৭১৩ সালের মার্চ মাসে ভিয়েনের ইম্পিরিয়াল কালেকশনের ইনস্পেক্টর অফ মেডেলস কার্ল গুস্তাভ হিরিওস-এর একটি হাতে লেখা নোটে। এই নোট থেকে জানা যায় ট্রান্সিল্ভেনিয়া (বর্তমানে রোমানিয়ার অন্তর্গত) থেকে সংগ্রহ করা পাঁচ প্রকার নকশার আটটি রোমান মুদ্রার কথা। নোটে উল্লেখ আছে এই মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছে স্বয়ং হ্যাপসবার্গ সাম্রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জোহান ডেভিড ফন পাম-এর থেকে। সবকটি মুদ্রাই তৃতীয় শতকের এবং প্রায় সবকটি মুদ্রাতেই খোদিত রোমান সম্রাটের প্রতিকৃতি ও নাম ঐতিহাসিকদের কাছে পরিচিত, যেমন তৃতীয় গর্ডিয়ান, প্রথম ফিলিপ ইত্যাদি। কিন্তু এর মধ্যে দুটি মুদ্রায়, একটি সোনার আর আরেকটি রুপোর, এমন এক সম্রাটের প্রতিকৃতি ও নাম ছিল, যার কথা ঐতিহাসিকরা আগে কখনো শোনেননি। এই সম্রাটের নাম স্পনসিয়ান। স্পনসিয়ান-এর প্রতিকৃতি খোচিত মুদ্রাগুলির নকশাও ছিল অদ্ভুত। এতে প্রজাতান্ত্রিক রোমান আমলের মুদ্রার নকশার অনুকরণ দেখা যায়, যা এই মুদ্রাদ্বয়ের সম্ভাব্য সময়কাল, মধ্য তৃতীয় শতকের প্রায় তিনশত বছর আগের যুগ। এ ছাড়াও রোমান মুদ্রার নকশার যা উন্নত মান, তাও এই মুদ্রা দুটির মধ্যে অনুপস্থিত ছিল। তাই আবিষ্কারের পরেই অভিযোগ ওঠে মুদ্রাগুলি জাল। আবার কিছু ঐতিহাসিক বলেন যেহেতু এই দুটি মুদ্রার প্রাপ্তিস্থান ট্রান্সিল্ভেনিয়া, যা তৎকালীন সাম্রাজ্যের প্রান্তসীমায় অবস্থিত বর্বর উপজাতিদের আক্রমণে জর্জরিত রোমান ডেসিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাই এই অঞ্চলের মুদ্রায় স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রীয় সাম্রাজ্য এলাকার মুদ্রার মান ও নকশার রীতি অনুপস্থিত রয়েছে। অনুমান করা হতে থাকে স্পনসিয়ান হলেন তৃতীয় শতকের সাম্রাজ্যে সম্রাট ফিলিপের মৃত্যুর পর গৃহযুদ্ধের ডামাডোলের সুযোগ নিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা স্বঘোষিত সম্রাটদের একজন, তিনি সাম্রাজ্যের এই প্রান্তপ্রদেশে সাময়িক কর্তৃত্ব স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আরেকদল আবার স্পনসিয়ানের অস্তিত্বই অস্বীকার করেন। চলতে থাকে তুমুল বিতর্ক। প্রথম দিকে যাঁরা মুদ্রাগুলি আসল বলে যুক্তি দিচ্ছিলেন, তাঁদের দলই ভারি ছিল। কিন্তু ১৮৬৮ সালে এই বিতর্কের আপাত ইতি টানেন বিবলিওথিক ন্যাশনাল দে ফ্রঁস এর অগ্রগণ্য মুদ্রা বিশেষজ্ঞ হেনরি কোহেন। তিনি বলেন এই মুদ্রা দুটি শুধু জাল মুদ্রা নয়, জাল করার মানও অত্যন্ত নিম্ন। এরপর মোটামুটি সকল বিশেষজ্ঞই মেনে নেন যে স্পনসিয়ানের এই রোমান স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা জাল এবং অষ্টাদশ শতকের ভিয়েনার কোনও জাল মুদ্রার কারবারি এই মুদ্রার আদত স্রষ্টা।
এইভাবেই বিষয়টি দীর্ঘদিন পড়ে ছিল। স্পনসিয়ানের মুদ্রার কথা ভুলে গেছিলেন সবাই। স্বর্ণ মুদ্রাটি গ্লাসগোর হান্টেরিয়ান মিউজিয়ামের আলমারিতে আর রৌপ্য মুদ্রাটি রোমানিয়ার ব্রুকেন্থাল ন্যাশনাল মিউজিয়ামে বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছিল। বিতর্কের আপাত অবসানের প্রায় দেড় শতক পরে স্পনসিয়ান বিতর্কের রুদ্ধ দ্বার আবার নতুন করে খুললেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক পল পিয়ার্সন। রোমান ইতিহাসের উপর একটি বই লেখার কাজে গবেষণা করার সময় হঠাৎই তাঁর চোখে পড়ে এই মুদ্রার কয়েকটি ছবি। ছবি দেখে তাঁর ধারণা হয় এই মুদ্রার উপরিভাগের যে আঁচড়ের দাগ রয়েছে, তা একমাত্র বহু হাত ঘোরা মুদ্রার মধ্যেই দেখা যায়, জাল মুদ্রায় এই দাগ বিশ্বাসযোগ্য ভাবে ফুটিয়ে তোলা ভীষণ কঠিন। তিনি তাঁর সন্দেহের ভিত্তিতে যোগাযোগ করেন গ্লাসগোর হান্টেরিয়ান মিউজিয়ামের সঙ্গে এবং তাঁর নেতৃত্বে এই মুদ্রার পুনঃমূল্যায়নের জন্য একটি গবেষক দল গঠিত হয়। তাঁদের গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে PLOS ONE জার্নালে গত ২৩-শে নভেম্বর। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি, স্পেকট্রোস্কোপি এবং আল্ট্রা ভায়োলেট রে ব্যবহার করে গবেষকরা সিদ্ধান্তে এসেছেন স্পনসিয়ানের মুদ্রা জাল নয়, আসল। মুদ্রার উপরিভাগে বার বার হাত ঘোরার ফলে বা থলিতে থাকা অন্যান্য মুদ্রার সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট সূক্ষ্ম আঁচড়ের দাগ তো পাওয়া গেছেই, পাওয়া গেছে সিলিকা দ্বারা আটকে খনিজও, যা ইঙ্গিত দেয় এই মুদ্রা দীর্ঘদিন মাটির তলায় ছিল। এছাড়াও এই মুদ্রা যে আসল তার স্বপক্ষে গবেষকরা হাজির করেছেন আরও অনেকগুলি যুক্তি। একটি হল মুদ্রায় থাকা সোনার মূল্য বর্তমান হিসেবে কুড়ি হাজার ডলারের অধিক। এই উচ্চমূল্যের সোনা ব্যবহার করে মুদ্রা জাল করলে তাতে লাভ রাখা খুব কঠিন। এর পাশাপাশি গবেষকদের মতে ‘স্পনসিয়ান’ নামটির ব্যবহারই মুদ্রাটি যে আসল তা প্রমাণ করে। কারণ স্পনসিয়ান কোনও পরিচিত রোমান নাম নয়। এই মুদ্রা ছাড়া স্পনসিয়ান নামের উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের একটি রোমান সমাধি লেখতে। নিকোডেমোস স্পনসিয়ান নামক এই ব্যক্তির সমাধি লেখটি আবিষ্কৃত হয়েছে ১৭২০-এর দশকে, অর্থাৎ মুদ্রাটি আবিষ্কারের প্রায় সাত আট বছর পরে। তাই কেউ যদি মুদ্রাটি জাল করে থাকে, তার পক্ষে জানা সম্ভব না, স্পনসিয়ান নামটি একটি প্রামাণিক রোমান নাম। আগে কেউ বানিয়ে স্পনসিয়ান নামটি জাল করা মুদ্রায় বসিয়েছে আর পরে কাকতালীয় ভাবে দেখা গেছে স্পনসিয়ান নামটি সত্যিই একটি প্রামাণ্য রোমান নাম – এমন হওয়ার সম্ভবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এই সমস্ত যুক্তির ভিত্তিতে গবেষণাপত্রে বলা সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে মুদ্রাটি জাল নয়, স্পনসিয়ান নামে সত্যিই একজন রোমান সম্রাট ছিলেন যিনি মধ্য তৃতীয় শতকে ডেসিয়া শাসন করেছিলেন।
স্পনসিয়ান এর অস্তিত্ব প্রমাণিত হওয়ার পর ঐতিহাসিকদের সামনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ এসে উপস্থিত হয়েছে – ইতিহাসে এই বিস্মৃত সম্রাটের ভূমিকা ঠিক কি ছিল ? এতেও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও হান্টেরিয়ান মিউজিয়ামের গবেষক গোষ্ঠী কিছু আলোকপাত করতে সক্ষম হয়েছেন। যেহেতু কোনও ঐতিহাসিক স্পনসিয়ান নামে কোনও রোমান সম্রাটের উল্লেখ করেননি, তাই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি কোনওদিন রোম শহরের উপর নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে সক্ষম হননি। তাঁর মুদ্রার খারাপ মান দেখে এও অনুমান করা যায় সাম্রাজ্যের কোনও রাজকীয় টাঁকশাল তাঁর অধীনে ছিল না। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে সকল ঐতিহাসিক হেনরি কোহেনের স্পনসিয়ান মুদ্রা জাল হিসেবে মূল্যায়নের আগে স্পনসিয়ানকে ঐতিহাসিক চরিত্র বলে মনে করতেন, তাঁদের অনুমান ছিল স্পনসিয়ান ছিলেন সম্রাট ফিলিপ পরবর্তী সময়ে রোমান গৃহযুদ্ধের কালে ডেসিয়ার শাসক যিনি নিজেকে সম্রাট বলে ঘোষণা করেছিলেন। এই তত্ত্ব সম্পর্কে বর্তমান গবেষক গোষ্ঠী সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে স্পনসিয়ানের সম্ভাব্য সময়কাল হল সম্রাট গ্যালিনাসের রাজত্বকাল (২৬০-৬৮ খ্রিস্টাব্দ)। এই সময় সাম্রাজ্যের বহু অঞ্চল কার্যত স্বাধীন হয়ে যায়। দানিয়ুবের দক্ষিণের প্রদেশগুলি বর্বর আক্রমণ ও গৃহযুদ্ধে এতই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে যে ডেসিয়ার সঙ্গে মূল সাম্রাজ্যের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে পড়ে। তাঁদের অভিমত হল কার্যত স্বাধীন ডেসিয়ায় এই সময় টাঁকশাল না থাকলেও স্থানীয় সোনার ও রুপোর খনি ছিল। এই খনি ব্যবহার করেই এই নতুন মুদ্রার প্রচলন করা হয়। অনুমান করা যেতে পারে স্পনসিয়ান ছিলেন স্থানীয় সেনানায়ক, যিনি কেন্দ্রীয় কোনও কর্তৃত্বের অনুপস্থিতিতে শাসনভার গ্রহণ করেন ও পরবর্তীকালে নিজেকে রোমান সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন। স্পনসিয়ান মুদ্রা যে জাল তার স্বপক্ষে একটি যুক্তি হল যে এই নামাঙ্কিত মুদ্রা দুটি ছাড়া আর পাওয়া যায় নি। যদি এটি স্থানীয় কোনও শাসকের বহুল ব্যবহৃত মুদ্রা হত, তাহলে তা হওয়ার কথা নয়। গবেষকরা এর স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন স্পনসিয়ানের সম্ভাব্য শাসনকালের এক দশকের মধ্যেই সম্রাট অরেলিয়ান ডেসিয়া প্রদেশ পরিত্যাগ করেন এবং এই অঞ্চলের সকল রোমান সামরিক ও বেসামরিক জনতা দানিউবের দক্ষিণ তীরে সরে আসে। এই সময়ে এই প্রদেশে ডামডোলের সময় প্রচলিত নানা রকমের ও মানের প্রায় সকল মুদ্রা সম্রাট বাজেয়াপ্ত করেন ও তার পরিবর্তে প্রত্যেককে সমমূল্যের নতুন নির্দিষ্ট মানের সরকারী মুদ্রা দেওয়া হয়। ১৭১৩-সালে যে মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে তা সম্ভবতঃ কোনও ধনী ব্যক্তির যিনি যেকোনো কারণেই হোক ডেসিয়া থেকে আর দানিউবের দক্ষিণে তাঁর মাটির তলায় সঞ্চিত ধন নিয়ে ফিরতে পারেনি।
দীর্ঘকাল ধরে রোমান সাম্রাজ্যের সংকটের তৃতীয় শতকে ডেসিয়ার ভাগ্য নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিতর্ক ছিল। বিতর্কের উৎস হল একদিকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপাদান থেকে পাওয়া যাচ্ছে যে ডেসিয়া প্রদেশ সম্রাট গ্যালিনাসের শাসনকালে সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে যায়, আবার একই সঙ্গে প্রাচীন উপাদান থেকে আমরা জানতে পারি তার এক বা অর্ধ দশক বাদে সম্রাট অরেলিয়ান ডেসিয়া থেকে পরিকল্পিত ভাবে সকল সেনা ও বেসামরিক রোমান জনতাকে দানিউবের দক্ষিণে সরিয়ে আনছেন। যদি গ্যালিনাসের সময় ডেসিয়া সাম্রাজ্যের বাইরেই বেরিয়ে যায়, তাহলে অরেলিয়ান ডেসিয়া থেকে কোন সেনা আর রোমান জনতা সরালেন ? – দীর্ঘকাল এই ছিল ঐতিহাসিকদের প্রশ্ন। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও হান্টেরিয়ান মিউজিয়ামের গবেষক গোষ্ঠী বলছেন স্পনসিয়ানের মুদ্রা ব্যবহার করে এই বিতর্কের একটা সন্তোষজনক সমাধান সম্ভব। গ্যালেনিয়াসের সময়েই ডেসিয়া রোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় শাসনের বাইরে চলে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু ডেসিয়াতে রোমান কর্তৃত্বের অবসান হয়নি। গৃহযুদ্ধ ও বর্বর আক্রমণ যখন দানিউবের দক্ষিণে চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল, তখন ডেসিয়া ছিল অপেক্ষাকৃত স্থিতাবস্থার দুর্গ। কেন্দ্রীয় শাসন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পর অনুমান করা যায় দুটি রোমান লিজিয়ন XIII Germania এবং V Macedonia এই অঞ্চলে রোমান কর্তৃত্ব বজায় রাখে। স্পনসিয়ান ছিলেন সম্ভবতঃ এই লিজয়নগুলির সেনানায়ক বা Dux। পিয়ার্সনরা বলছেন স্পনসিয়ানের সম্রাট হওয়ার কোনও অভিপ্রায় সম্ভবতঃ ছিল না। তিনি নিজেকে সম্রাট ঘোষণা করে ডামডলের সুযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় কর্তৃত্বের বিরোধিতা করেননি বরং কেন্দ্রীয় কর্তৃত্বের অনুপস্থিততে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই সম্ভবতঃ অস্থায়ী ভাবে তিনি নিজেকে সম্রাট বা Imperator ঘোষণা করেন। এই বিষয়ে অবশ্যই আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে। পিয়ার্সনের নেতৃত্বাধীন গবেষকগোষ্ঠী আশাবাদী ভবিষ্যতে আরও স্পনসিয়ানের মুদ্রা পাওয়া যাবে, রোমান ইতিহাসের এই অন্ধকার অধ্যায় সেই উপাদানের আলোকে বোঝা সম্ভব হবে আরও স্পষ্ট ভাবে।
খবরটি বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন নীচের লিঙ্কে।
-অর্কপ্রভ সেনগুপ্ত