প্রাগিতিহাস ও ইউরোপীয় গুহাচিত্র
রাত্রিবেলা ঘুম ভেঙেছে অন্ধকারে সিংহের জ্বলজ্বলে চোখের দিকে তাকিয়ে। সেই সিংহ আবার কোন এক প্রাচীন তৃণভূমিতে বাইসনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। শেষমুহূর্তে বুঝতে পারলাম আমি সিংহের মুখগহ্বরে যাব না। আসলে অন্ধকার গুহায় প্রায় জীবন্ত পশুর ছবি দেখে আমি এক ঘোরে আছি।
গুহাশিল্পীদের এই দক্ষতা আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেবে। খেয়াল রাখবেন, এ কিন্তু পঞ্চদশ শতাব্দীর ইউরোপীয় আর্ট নয়। আমি বলছি ল্যাসো গুহা চিত্রের কথা। অন্তত ১৭ হাজার বছর আগের চিত্র পাওয়া গেছে এই গুহায়।
১৯৪৮-এ এই গুহা আবিষ্কৃত হয়। আর ১৯৫৫ সালের মধ্যে দৈনিক ১২০০ দর্শক ও তার সাথে তাদের দেহ নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড, দেহতাপ, আর্দ্রতা ইত্যাদিতে ওখানকার চিত্রগুলি দৃশ্যত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১৯৬৩ থেকে ওই গুহায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তত্ত্বাবধানের জন্য ওখানে যায় প্রত্নতাত্ত্বিক ও কিছু বিজ্ঞানী। ওরা গুহাচিত্রের পুনর্নির্মাণ করেছেন।
আর ৩০ থেকে ৩২ হাজার বছর আগে দক্ষিণ ফ্রান্সের শুভে গুহায় কিছু ছবি আঁকা হয়েছিল। এই ছবিগুলো পুরাতন প্রস্তর যুগের মানব জীবনের অনন্য প্রমাণ। এখানে প্রায় ৬৫-টি ছবি পাওয়া গেছে। আছে পশম যুক্ত গন্ডার, গুহা ভাল্লুক, ম্যামথের চিত্র।
সে যাক, পাবলো পিকাসো নাকি বলেছিলেন ল্যাসো গুহাচিত্রের পরে আমরা চিত্র শিল্পে এক ধাপও আর এগোইনি।
প্রাগৈতিহাসিক যুগের গুহাচিত্রগুলি সম্পর্কে পুরো খবরটি পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন। ঘুরে ঘুরে দেখুন সেই সময়ের গুহাচিত্র
— মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়।
Really good