নাৎসি জার্মানদের হাতে নিহত একমাত্র ভারতীয় – এম মাধবন
নাৎসি জার্মানির ইতিহাসে একজন মাত্র ভারতীয়কে হত্যা করা হয়েছিল। আশ্চর্যজনকভাবে তার কথা আমরা ভুলে গেছি। এম মাধবন। কেরালার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হয়েছিল মাধবনের। পরবর্তীকালে পন্ডিচেরিতে যাবার আগে তিনি মাহে যুব লীগের সদস্য ছিলেন। পন্ডিচেরিতে গিয়ে তিনি হরিজন সেবক সংঘে যোগ দেন। এই সংগঠনটি গান্ধীজি তৈরি করেছিলেন নিপীড়িত মানুষের শিক্ষা ও মন্দিরে প্রবেশাধিকারের জন্য। তখনকার ফরাসি কলোনির নিয়ম অনুযায়ী সেখানকার মেধাবী এশীয় ও আফ্রিকানদের ফ্রান্স পড়ার ব্যবস্থা করা হতো। জার্মানির ফ্রান্স দখলের ঠিক আগে মাধবন ফ্রান্সের বিখ্যাত সবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন। সেই সময়ে তিনি সাম্যবাদের ভাবনায় উজ্জীবিত ছিলেন। তিনি ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়ে নাৎসি জার্মান বিরোধী প্রতিরোধে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালে নাৎসিরা তাকে গ্রেপ্তার করে গেস্টাপোর হাতে তুলে দেয়। জেলে অত্যাচার করবার পরে ১৯৪২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় ফোর্টে দ্য রোমানভিল কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর।
পুরো খবরটি পড়তে হলে নিচের লিঙ্ক চাপুন।
-মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
চমৎকার তথ্য। গেস্টাপোদের নিষ্ঠুরতম ও চূড়ান্ত অমানবিক কুকীর্তির পরও সমাধিটি নাম দ্বারা চিহ্নিত করেছিল তারা বোধহয়।
নাহলে পরে আর আইডেন্টিফাই করা যেত না সম্ভবত। আপনি কি বলেন মধুশ্রীদি ?
সাম্যবাদ এবং সাম্যবাদীরা যে কতটা বিশ্বের জন্যে ভয়ঙ্কর সেটা নাৎসি রা সেই সময় ই বুঝেছিলো যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে, প্রায় সব দেশের সরকার ই ঠারে ঠারে বুঝে গেছে । তা এহেন সাম্যবাদী দের নিকেশ করার জন্যে নাৎসি দের দূরদর্শিতা কে কুর্নিশ করতেই হয় । গেস্টাপো কে যতই কুখ্যাত আর সুখ্যাত বলুন না কেন IQ, Intelligence gathering , Surveillance র ওদের তুলনায় একমাত্র MOSSAD ছাড়া কেউ নেই ।