নেপোলিয়নের যুদ্ধকৌশল
‘Liberté, égalité, fraternité’। ‘সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা’—ফরাসী বিপ্লবের বাণী।
ফরাসী বিপ্লবের সশস্ত্র রক্ষাকর্তার ভূমিকায় নেপোলিয়ন বোনাপার্ত প্রথম পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন। ১৭৯১ সালে বিপ্লবের অগ্নিবর্ষী সময়ে চরমপন্থী জ্যাকোবিন ক্লাবে যোগ দেন গোলন্দাজ বাহিনীর এই যুবক লেফটেন্যান্ট। পরের কয়েক বছর ধরে সেনাবাহিনীর মধ্যে নেপোলিয়নের দ্রুত পদোন্নতি হতে থাকল। আস্তে আস্তে তিনি সেনাবাহিনীর মধ্যে রাজতন্ত্র বিরোধী মিলিটারি সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হয়ে দাঁড়ালেন।
রাজতন্ত্র-বিরোধীরা ক্ষমতা দখলের পরে তাদের নিজেদের নানা দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়। অন্যদিকে রাজতন্ত্রীদের সঙ্গে তাদের লড়াইও চলতে থাকে। এই সময়ে রাজতন্ত্র-বিরোধীদের মিলিটারি ক্ষমতার স্তম্ভ হয়ে দাঁড়ালেন সুযোগসন্ধানী এই যুবক। অনতিবিলম্বে বিপ্লবের নানা দুর্বলতার সুযোগে সে দেশে ক্ষমতা দখল করলেন প্রায় ভুঁইফোঁড় এই ‘রাজতন্ত্র বিরোধী’ যুবক। এর মধ্যে তিনি দেশের সেনানায়কের পদ দখল করে বসেছেন। ১৮০৫ সালে নিজেকে সম্রাট বলে ঘোষণা করলেন নেপোলিয়ন। আগের সিকি দশক ধরে চলমান রাজতন্ত্র বিরোধী বিপ্লবের অবসান ঘটল এক ‘বিপ্লব-সমর্থক’ সেনানায়কের হাতে।
নেপোলিয়নের আদর্শ নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। কিন্তু তাঁর অসাধারণ যুদ্ধকৌশল নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে না। নেপোলিয়ন যখন সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত ছিলেন তখন রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিজের জয়ের কাহিনী লিখে রেখেছিলেন। অস্টারলিৎজ (Austerlitz)-এর এই যুদ্ধ যে কোনও মিলিটারি আকাদেমির অবশ্যপাঠ্য— নেপোলিয়নের যুদ্ধকৌশল থেকে এখনও কিছু শেখার আছে বলে মনে করেন আধুনিক সমরবিদরা।
চুয়াত্তর পৃষ্ঠার এই বইটি নেপোলিয়ন ডিকটেট করেন, তবে তার মধ্যে তাঁর নিজের হাতে লেখা নোট ও কারেকশনও রয়েছে। সম্প্রতি প্যারিসে বিক্রি হল এর পাণ্ডুলিপি।
The Guardian পত্রিকাতে এই খবর পড়ার জন্য নিচে ক্লিক করুন।
— ডা. জয়ন্ত দাস।
মুল আর্টিকেল’টি যেমন ভালো, মুখবন্ধ’টি ততোধিক ভালো|