
বিদায় এমটোটো! যেখানেই থাকো, ভালো থেকো!
মানুষ এসেছে তো আফ্রিকা থেকে। তাহলে মানুষের সবচেয়ে পুরনো কবর আফ্রিকাতেই পাওয়া উচিৎ। যুক্তি তো তাই বলে। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ তা বলে না। এখনও পর্যন্ত মানুষের সবচেয়ে পুরনো কবর পাওয়া গিয়েছে ইস্রায়েল’এ – মাউন্ট কারমেলের সখুল গুহায় এবং নাজারেথের কাছে খাফজিহ গুহায়। এগুলোর বয়স ৯০ হাজার বছর থেকে ১৩০ হাজার বছরের মধ্যে। ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে এ এক কুহেলিকা। অনেকে অবশ্য বলেন যে আফ্রিকাতে ঠিকঠাকভাবে খোঁজাখুঁজি করা হয়নি বলেই ওখানে মানুষের পুরনো কবর পাওয়া যায়নি। আবার শুকনো ইজরায়েলে গুহার ভেতরে ফসিল পাবার সম্ভাবনাও হয়তো বেশি।
কিছুটা হলেও, সেই কুহেলিকার ধোঁয়াশা কেটেছে কয়েকদিন আগে। আফ্রিকার কেনিয়ায় পাওয়া গিয়েছে মানুষের কবর যার বয়স ৮০ হাজার বছর। এই কবর প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০১৩ সালে। কিন্তু তারপর ৮ বছর লেগে গেল সেই কবর থেকে ফসিল তুলে এনে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে সঠিক বয়স নির্ধারণ করতে। প্রচুর পুরনো কবর তো, তাড়াহুড়ো করে কিছু করতে গেলে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলোই নষ্ট হয়ে যেত।
কবরে শুয়ে ছিল ছোট্ট শিশু এমটোটো (সোয়াহিলি ভাষায় ভাষায় বাচ্ছাদের বলা হয় ‘এমটোটো’)। বয়স তখন তিন’ও পেরোয়নি বোধহয় যখন এমটোটো বিদায় জানিয়েছিল এই পৃথিবীকে। মৃত শিশু এমটোটোর পা দু’টো মুড়ে বুকের কাছে নিয়ে এসে, আবরণে সারা শরীর জড়িয়ে, মাথার তলায় একটা বালিশের মত কিছু রেখে, পরম যতনে নিজেদের আদরের সন্তানকে শেষ শয্যায় শুইয়ে দিয়েছিলেন এমটোটোর বাবা মা। তাই এমটোটোর কবর শুধু আফ্রিকায় পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন মানুষের কবর নয়, আদি অনাদি অপত্য স্নেহের এক সুপ্রাচীন প্রমাণও বটে।
এই নিয়ে বিস্তারিত পড়তে চাইলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
– শান্তনু ভৌমিক
htheguardian.com/archaeologists-uncover-oldest-human-burial-in-africa
খুব প্রয়োজনীয় মূল্যবান তথ্য। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ