কঙ্কালের সাক্ষ্য ১
“বলতে পারো বড়মানুষ মোটর কেন চড়বে? / গরীব কেন সেই মোটরের তলায় চাপা পড়বে?”
গরীব লোকের প্রাণের দাম চিরকালই কম। তারাই সামাজিক হিংস্রতার শিকার হয়। আর সেটা শুধু এদেশে নয়, সব দেশে। একালে নয়, প্রাচীন কালেও।
১১০০ সাল থেকে ১৫০০ সাল। এই সময়ের মধ্যে চালু ছিল কেমব্রিজের তিনটি কবরখানা। সেই কবরখানার কঙ্কালের অবশেষ খুঁড়ে আমাদের জানা সেই কথাটাই আবার প্রমাণ হল।
যীশু বলেছিলেন, সুঁচের ফুটোর মধ্যে উট গলে যেতে পারে, কিন্তু স্বর্গের দরজা দিয়ে ধনীরা ঢুকতে পারে না। তবে যীশুর শিষ্যরা টাকার জোরে স্বর্গের টিকিট কাটার চেষ্টা করতেন এমন সন্দেহ করার কারণ ভূরি ভূরি। খাস পরলোকের ব্যাপারে তেমন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারেননি। কিন্তু পরলোকের আগের ধাপ কবরখানার মধ্যে যে দিব্যি শ্রেণিবিভাগ ছিল, আর ধনীরা যে এক্সেকিউটিভ ক্লাস আর গরীবেরা ক্যাটল ক্লাস, তার প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ হাজির করেছেন জেনা ডিটমার আর তাঁর টিম।
ফরেনসিক বিজ্ঞানে একটা চালু কথা হল, মৃতরা কথা বলে। ৩১৪ টি প্রাচীন কঙ্কালের বিশ্লেষণ বলছে, গরীবদের দেহে হিংস্র আক্রমণের চিহ্ন বেশি। মধ্যবিত্তরাও অবশ্য সেই সময়ে নিরাপদ ছিল না। তারা খেটে খাওয়া মানুষ। সেই সময়কার যোদ্ধা আর নাইটদের বীরত্বগাথা ইতিহাসে কাব্যে আমরা পড়ি, কিন্তু যারা প্রতি পদে মরতে মরতে বাঁচতেন, তাদের কথা কেউ লেখেনি।
এই গবেষণাপত্রটি আমেরিকান জার্নাল অফ ফিজিক্যাল অ্যানথ্রোপলজি-তে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। The Guardian পত্রিকার Archaeology বিভাগে তার খবর পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
— ডা. জয়ন্ত দাস।
অসম্ভব ভাল লেখার হাত আপনার। এত অল্প শব্দে পুরো প্রবন্ধটি পড়ার আগ্রহ তৈরি করে দিলেন। এই পোর্টালে এত ভাল লেখকদের উপস্থিতি রয়েছে যা অন্য কোথাও পাই না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
অসাধারণ মুখবন্ধ|