পম্পেই শহরের ইতালীয় খানার কয়েক কথা
ইতালির পম্পেই নগরের কথা মনে আছে তো? সে অনেক দিনের কথা— তা প্রায় ৭৯ সাধারণ অব্দ কালে। তখন ভারতের উত্তর পশ্চিমাংশে রাজত্ব করছে কুষাণ রাজারা।
ইতালির নেপলসের কাছে ভিসুভিয়াস পর্বতের অগ্ন্যুৎপাতের কথা সকলেই জানি। ওই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে লাভার সঙ্গে ছাই, পাথর ইত্যাদি নির্গত হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। আর সেই ছাই ও পাথরে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল পম্পেই শহর। আজও পম্পেই শহরে গেলে দেখা যায় প্রস্তরীভূত মানুষের দেহ।
সেই নগরীতে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন চলেছে। এখনও চলছে। সেখানকার প্রত্নতাত্ত্বিকরা সম্প্রতি একটি রেস্তোরাঁ আবিষ্কার করেছেন— এটি ছিল এক ধরনের প্রাচীন ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট। আরও মজার বিষয় হল এই রেস্তোরাঁ একবিংশ শতকে সেজেগুজে এখন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
অবশ্য দর্শনার্থীরা সেই পুরোনো আমলের রেস্তোরাঁয় পরিবেশিত রোমান খাবারগুলি চেখে দেখতে পারবেন না। কারণ সেই সমাজে বয়ামে রাখা মধু দিয়ে ভাজা ইঁদুরগুলো সুস্বাদু খাবার হিসেবে বিবেচিত হত। অবশ্য তারা রেস্তোরাঁর গায়ে রঙিন ফ্রেস্কো দেখতে পারবেন। শুধু ইঁদুর নয়, এখানে খননের ফলে হাঁস, শূকর, ছাগল এবং মাছের হাড় পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে মৃৎপাত্রের ছিদ্রের মধ্যে শামুকের খোলস পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় যে তাদের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের স্টু থাকতে পারে। সাধারণ খাবারের মধ্যে নোনতা মাছ, বেকড পনির, মসুর ডাল এবং মশলাদার ওয়াইন অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রথম যখন এটি আবিষ্কার করেছিলেন তখন একটি জার-এ তখনও মদের গন্ধ ছিল।
খবরটি বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন নীচের লিঙ্কে।
— মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
দারুণ আবিষ্কার
দারুণ।প্রত্নতাত্বিক খোঁজাখুঁজি কত কিছু যে অন্তর্নিহীত প্রশ্নের উত্তর এনে দেয়!
ভালো লাগলো।