কঙ্কালের সাক্ষ্য ২
ঠিক কুড়ি বছর আগে ২০০১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাপের এক ভূমিকম্পে গুজরাটের মাটি কেঁপে উঠেছিল। তার এপিসেন্টার ছিল ভুজ শহর। আর ঠিক দু’বছর আগে ২০১৯ সালে সেই ভুজ-এর ১০০ কিলোমিটার দূরে ভূমির তলায় পাওয়া গেল প্রাক-হরপ্পীয় সভ্যতার এক নিদর্শন।
আজ থেকে একশ’ বছর আগে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় হরাপ্পা আর মেহেঞ্জাদারোতে হরপ্পীয় সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করেছিলেন। সেই আবিষ্কার ভারতের ইতিহাসের প্রাচীনতা ও ব্যাপ্তি সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি চিরদিনের মত বদলে দিয়েছিল। তার পর থেকে বর্তমান পাকিস্তান আর ভারতের নানা জায়গায় সিন্ধু সভ্যতার অজস্র নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। মহেঞ্জোদারো শব্দটির অর্থ মৃতের ঢিবি। ২০১৯ সালে ভুজ-এ আবিষ্কৃত নতুন প্রত্নক্ষেত্রে পাঁচ কঙ্কালের স্তুপ সাক্ষী দিচ্ছে আমাদের পূর্ব-ভূমির বিশালত্ব।
আমাদের না জানা পূর্বসূরীদের কথা আজ আমরা জানছি। প্রত্নতত্ত্বের সাহায্যে, জিনবিদ্যার সাহায্যে। কত মানুষের মিশ্রণে কত যুগ ধরে হয়ে তৈরি হয়েছে আজকের ভারতীয় সভ্যতা।
যা সাদা চোখে দেখা যায় তার নিচেও থাকে চাপা দেওয়া স্তর। না জানা ইতিহাস আর আমাদের ঐতিহ্যের লুকানো পরত।
Mirror Now Digital পত্রিকার এই খবর পড়ার জন্য নিচে ক্লিক করুন।
— ডা. জয়ন্ত দাস।