শহীদ ছাত্রী কালীবাঈ ভীলের অজানা ইতিহাস
দুঙ্গারপুরের রাস্পাতাল গাঁও, দলিত ভীলদের আর পাঁচটা গ্রামের মতোই ভীষণ রকম গরিব। দিন আনা দিন খাওয়া কিষান, পশুপালক, ছোটখাটো ফেরিওয়ালা, ভূমিহীন মজদুর আর মুচি-কামার-ছুতোর মিস্ত্রীদের মতো কারিগরেরা দুঙ্গারপুরের মহারাওয়াল (রাজা) লক্ষ্মণ সিংহের চরম স্বৈরাচারী অপশাসনে নিয়ত তটস্থ থাকতেন। ইংরেজ সরকারের হুকুমবরদার এই রাজাটিকে বাস্তবিকই আরেকজন ‘হীরক রাজা’ বলাই যায়। ইংরেজ মদতপুষ্ট মহারাওয়ালদের দৈনন্দিন বহুতর অত্যাচারে বহুকাল ধরেই ভীলদের যাতনার শেষ ছিল না। তবে আদিবাসী ও নিম্নবর্ণজাত হওয়ার ‘অপরাধে’ সমকালীন রাজা লক্ষ্মণ সিংহ ভীলদের পড়াশুনো করার অধিকারকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। বই-খাতা-কলমকে তিনি যেমন নেহাতই ‘উচ্চবর্ণের বিশেষাধিকার’ মনে করতেন, তেমনই ভীলদের ছেলেপুলেরা পড়ালেখা শিখে জ্ঞানবুদ্ধি হাসিল করলে তাঁর অন্যায় রাজপাটকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে বলেও মনে মনে ভারি ডরাতেন রাজামশাই।
তবে দুঙ্গারপুরের মহারাওয়াল আর ব্রিটিশদের শত বিরোধ স্বত্ত্বেও ১৯ শতকের শেষদিক থেকে রাজ্যের দুর্দশাগ্রস্ত তামাম ভীল সমাজকে আদ্যোপান্ত পরিবর্তনের লক্ষ্যে গুরু গোবিন্দ গিরি এবং ভোগীলাল পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বে ‘জনজাগরণ আন্দোলন’ নামক এক সাংস্কৃতিক তথা সমাজসংস্কার আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এই আন্দোলনের একটি জরুরি অংশ হিসেবে সংস্কারকরা দুঙ্গারপুরের ভীল-মীণা-ডামোর জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে আধুনিক শিক্ষাবিস্তারের উদ্যোগ নেন ও প্রচুর সংখ্যক অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুল ও ‘আদিবাসী ছাত্রাবাস’ স্থাপন করেন। স্বাভাবিকভাবেই ন্যূনতম আধুনিক শিক্ষা আর সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ভীলদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তারের এই প্রয়াস ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে আর অঞ্চলের প্রায় সব আদিবাসী বালক-বালিকাই এইসব স্কুলে নিয়মিত লেখাপড়া শুরু করে।
১৯২৯ থেকে ১৯৪৪ পর্যন্ত নিরন্তর ভীল সমাজকর্মীরা ‘সেবাশ্রম’, ‘হরিজন সেবা সঙ্ঘ’, ‘খান্ডলাই আশ্রম’, ‘দুঙ্গারপুর সেবা সঙ্ঘ’, ‘দুঙ্গারপুর প্রজামন্ডল’ ইত্যাদি নানা সংগঠনের পথে ভীল সমেত গ্রামীণ খান্দেশ-আরাবল্লীর প্রান্তিক প্রায় সকল জনগোষ্ঠীর কাছে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা ও দিন বদলের বার্তা পৌঁছে দিতে সফল হয়েছিলেন। ফলে ভীলরা সংগঠিতভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনেও যোগ দিতে শুরু করে। ভীল সমাজের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের মূল কারণ ছিল তাঁদের মধ্যে যুক্তিবাদী শিক্ষার বিপুল বিস্তার। স্বাভাবিকভাবেই এই শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন ও তার কান্ডারী সমাজকর্মীদের আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তাকে ভালো চোখে দেখেননি মহারাওয়াল লক্ষ্মণ সিংহ। রাজস্থানের একমাত্র দেশীয় রাজ্য হিসেবে ১৯৪৩-এ দুঙ্গারপুরে রাজার অনুমতি ব্যতীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা আর পাঠদান ও গ্রহণকে ‘আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ’ হিসেবে ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। তবে শুধু কাগুজে ঘোষণাই নয়, এই ‘সর্বনেশে’ আইনকে বাস্তবে কাজে পরিণত করার জন্য রাজা এক সরকারি ম্যাজিস্ট্রেট আর নিজস্ব গুন্ডাবাহিনী পুষে ফেলেন, যাদের কাজ ছিল ব্রিটিশ পুলিশ আর সেনার মদত নিয়ে গাঁয়ে গাঁয়ে ঘুরে শিক্ষক-অভিভাবক আর ছাত্রছাত্রীদের ভয় দেখিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া।
তবে রাজার তরফে আইনের অজুহাতে দমনপীড়ন স্বত্ত্বেও ভীল, মীণা বা ডামোর জনজাতির গাঁ দেহাতে শিশু-কিশোরদের মধ্যে পড়াশুনোর পরিবেশ বজায় রাখেন অঞ্চলের অকুতোভয় সমাজকর্মীরা। যেমন রাজার গুন্ডারা জোর করে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পরে রাস্পাতাল গ্রামের বয়স্ক শিক্ষক তথা সমাজকর্মী নানাভাই খাঁট নিজের বাড়িতেই খুলে ফেলেছিলেন নতুন এক পাঠশালা। নানাভাই আর জনপ্রিয় শিক্ষক সেঙ্গাভাইয়ের উদ্যম-উদ্যোগে গাঁয়ের অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে সেই পাঠশালায় আনন্দ করে পড়তে আসত গরিব ভীল চাষি সোমভাই আর নভলীবাঈয়ের ১২/১৩ বছরের কন্যা কালীবাঈও (জন্ম ১৯৩৫ সাধারণ অব্দ)।
মহারাওয়ালের গুন্ডাদলের অত্যাচারে দুঙ্গারপুরের বেশিরভাগ আদিবাসী স্কুলগুলি বন্ধ হয়ে গেলেও, হাজারো হুমকির মুখে দাঁড়িয়েও রাস্পাতাল গাঁয়ের পাঠশালাকে সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন নানাভাই আর সেঙ্গাভাই। দুই ‘সামান্য’ শিক্ষকের প্রতিস্পর্ধা দিনে দিনে অসহনীয় ঠেকছিল লক্ষ্মণ সিংহের কাছে। রাজ্যে ‘বিদ্যালয় ও পঠনপাঠন বিরোধী আইন’ জারির দীর্ঘ ৪ বছর পর ১৯৪৭ সালের ১৯শে জুন স্থায়ীভাবে রাস্পাতাল গ্রামের স্কুলটিকে বন্ধ করার জন্য রাজা সেখানে তাঁর ম্যাজিস্ট্রেট এবং এক ট্রাক ভর্তি সশস্ত্র পুলিশবাহিনী পাঠালেন। স্কুলের ক্লাস সমাপনের পর সে সময় ছাত্রছাত্রীরা না থাকলেও স্কুলের আঙিনায় তখনও হাজির ছিলেন নানাভাই আর সেঙ্গাভাই।
ম্যাজিস্ট্রেট শুরুতেই নানাভাইকে স্কুলের দরজায় তালা লাগিয়ে চাবিগোছা তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার হুকুম দেন। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম তামিল করতে রাজি হননি দুই শিক্ষক। এবার পুলিশবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ল তাঁদের ওপর। প্রথমে স্কুলের একটি ক্লাসঘরে, তারপর স্কুলের আঙিনায় টেনে এনে দুজনকে বন্দুকের বাঁট আর চাবুক দিয়ে নির্মমভাবে মারতে থাকে তারা। কিন্তু অমানুষিক মার খেয়েও দুই শিক্ষক স্কুলে তালা ঝোলাতে রাজি হলেন না। এদিকে চূড়ান্ত কষ্ট সহ্য করেও দুই মাস্টারমশাই একটানা বলে চলেছিলেন, “স্কুল চালানো অপরাধ নয়… শিক্ষাই আমাদের উন্নতির চাবিকাঠি… আমরা স্কুল বন্ধ করব না”।
শহীদ শিক্ষক নানাভাই খাঁট
ঘন্টাখানেক একটানা মারধোরের পরও শিক্ষকরা অনমনীয় থাকলেন। রাগে হতাশায় আরও নিষ্ঠুর হয়ে উঠল রাজার দালালরা। সিদ্ধান্ত হল, দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে রাস্তা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে একটানা প্রহার সহ্য করতে না পেরে ততক্ষণে স্কুলের আঙিনাতেই শহীদ হয়েছেন বৃদ্ধ নানাভাই খাঁট আর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন আরেক শিক্ষক সেঙ্গাভাই। তবে তাঁর ধৃষ্টতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে তাঁকে পুলিশের ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে গাঁয়ের পাথুরে পথ দিয়ে ঘষটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে মহারাওয়ালের গুন্ডাপুলিশ।
স্কুলের দিকে ধেয়ে যাওয়া পুলিশবাহিনীর ট্রাক দেখে গভীর আশঙ্কা নিয়ে সব কাজকাম ছেড়ে রাস্পাতাল গ্রামের স্কুল চত্ত্বরে ভিড় করেছিলেন গাঁয়ের মানুষ। শিক্ষকদের ওপর প্রহার চলার সময় প্রতিবাদ করলে নির্বিচারে সমবেত জনতাকে খুন করার হুমকি দেয় পুলিশদল। ফলে চোখের সামনে প্রিয় শিক্ষকদের এই ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখলেও, পুলিশকে বাধা দেওয়ার নানা পরিকল্পনা নিজেদের মধ্যে চুপিসাড়ে করলেও রাইফেল বন্দুকের নলের সামনে ছাপোষা ভীল আর মীণারা প্রতিরোধের সাহস হারিয়ে ফেলেন আর আতঙ্ক-যন্ত্রণায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন স্থানুবৎ! তারা জোটবদ্ধভাবে পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস দেখালে হয়ত সেদিন ভীলগ্রামটিতে লেখা হতো এক অন্য ইতিহাস।
এই পুরো ঘটনাটি যখন ঘটছিল, সেসময় স্কুল ছুটির পর রোজকার মতো মাঠে ঘাস কাটতে গেছিল স্কুলের ছাত্রী কালীবাঈ। গোলমাল শুনে মাথায় ঘাসের গাঁঠরি আর হাতে হাঁসুয়া নিয়ে অকুস্থলে হাজির হয় সে। সে সময় সবে পুলিশের ট্রাক কোমরে দড়ি বাঁধা সেঙ্গাভাইকে টেনে ঘষটে গ্রামের পাথুরে পথ দিয়ে এগোন শুরু করেছে। প্রিয় শিক্ষকের ওপর পুলিশের এহেন ভয়ঙ্কর নির্যাতন দেখে স্থির থাকতে পারেনি ছোট্ট মেয়েটি। এক মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয় সে, আর ঘাসের গাঁঠরি ফেলে হাঁসুয়া হাতে একাই ছুট লাগায় পুলিশ ট্রাকের পিছনে। “কোথায় নিয়ে যাচ্ছ আমার মাস্টারজিকে? কেন এরকম করে টানছ ওঁকে? এক্ষুনি ছেড়ে দাও আমার মাস্টারজিকে…” বুকফাটা আর্তনাদ করতে করতে দ্রুত ট্রাকের পিছু ধাওয়া করে কালীবাঈ।
ছোটো একটি মেয়েকে হাঁসুয়া হাতে ট্রাকের পিছনে দৌড়তে দেখে বোধহয় এক পলের জন্য বিহ্বল হয়ে গেছিল রাজার ম্যাজিস্ট্রেট আর পুলিশদলও। তারা ট্রাক থামিয়ে বালিকাকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়, অন্যথায় গুলি করে দেওয়ার ভয় দেখায়। কিন্তু জ্ঞানহীন রক্তাক্ত প্রিয় শিক্ষককে মুক্ত করা ছাড়া সে মুহূর্তে ১২ বছরের নির্ভীক ছাত্রীটির মনে দ্বিতীয় আর কোন ভাবনাই কাজই করে নি। তাক করে রাখা সার সার খোলা বন্দুকের নলকে তিলমাত্র গ্রাহ্য না করে হাঁসুয়া দিয়ে সেঙ্গাভাইয়ের কোমরের দড়ি কেটে তাঁকে মুক্ত করে দেয় কালীবাঈ। গাঁয়ের বালিকার এই অদম্য সাহস দেখে এবার থেমে যাওয়া ট্রাকের দিকে এগিয়ে আসেন নভলী বাঈ, মোতী বাঈ, হোমলী বাঈ, নানী বাঈ, লালী বাঈ প্রমুখ বয়স্ক মহিলারা। তেমনই তাঁর দৃপ্ত ব্যক্তিত্বে ভয় পেয়ে যায় পুলিশের দল। আহত সেঙ্গাভাইকে জল দিয়ে সুস্থ করার কথা যখন কালী মহিলাদের বলছিল, ঠিক সেসময় দ্রুতবেগে পালাতে থাকা ট্রাক থেকে পুলিশরা রাইফেল থেকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করতে থাকে ছোট্ট কালীবাঈকে তাক করে। রক্তে ভেসে যাওয়া মেয়েটিকে বাঁচানো আর সেঙ্গাভাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে গিয়ে সেসময় আহত হন, নভলীবাঈ সমেত আরো অনেক ভীল মহিলা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালীবাঈকে ৩০ মাইল দূরের দুঙ্গারপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষক নানাভাই খাঁটের মরদেহকেও। দীর্ঘ ৪০ ঘন্টা অচেতন থাকার পর, ২০ জুন সকালে শহীদ হন ভীল জনগোষ্ঠীর ‘বীরবালা’ ১২ বছরের ছোট্ট মেয়ে কালীবাঈ ভীল। তবে গুরুতর আহত হলেও সেদিন নিজের ছাত্রীর আত্মবলিদানের বিনিময়ে প্রাণে বেঁচে গেছিলেন আরেক শিক্ষক সেঙ্গাভাই। একদিকে ভীল বালিকার এই অভাবনীয় আত্মত্যাগ আর অন্যদিকে প্রিয় শিক্ষকদের ওপর মহারাওয়ালের পুলিশবাহিনীর বর্বর আক্রমণের ঘটনা ভীলদের ধৈর্যের সব বাঁধ ভেঙে দেয়। বিদ্রোহের প্রতীক ‘মারু ঢোল’ বেজে ওঠে আরাবল্লীর সব আদিবাসী গাঁয়ে। রাজা লক্ষ্মণ সিংহকে উৎখাত করার লক্ষ্যে শুরু হয় ভীলদের চূড়ান্ত গণসংগ্রাম। তবে কয়েকমাসের মধ্যেই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৮ এর ২৫শে মার্চ দুঙ্গারপুর দেশীয় রাজ্যটির স্বাধীন অস্তিত্ব লুপ্ত হয়। সঙ্গে সাঙ্গ হয় মহারাওয়ালের মধ্যযুগীয় শাসনকালও।
দশম শ্রেণির ইতিহাস বইয়ের ৩ নম্বর অধ্যায়ের প্রথমভাগে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ১৮-১৯ শতকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলির প্রতিরোধের ইতিহাসে মাত্র সাড়ে পাঁচ লাইন ব্যয়িত হয়েছে ‘ভীল’ বিদ্রোহের জন্যে। ‘ভীল’ নামে একদল প্রাচীন উপজাতি গোষ্ঠী, যাঁরা কিনা সেই সুদূর খান্দেশ-আরাবল্লীর রুখাসুখা পাথুরে জঙ্গলে ইংরেজদের বিরুদ্ধে একটানা বিদ্রোহ করে এসেছিল প্রায় দু’শো বছর ধরে, তাঁদের কথা আমরা বাঙালিরা স্কুলের সিলেবাসের নানা সীমাবদ্ধতার কারণে না জানলেও আরাবল্লীর গাঁও দেহাতের ভীল-মীণা-ডামোর আদিবাসীরা চির গৌরবের সঙ্গে মনে ধরে রেখেছেন তাঁদের প্রিয় দুই শিক্ষক এবং বীর বালিকা কালীবাঈয়ের স্মৃতিকে। রাস্পাতাল গ্রামে বসেছে নানাভাই আর কালীবাঈয়ের মূর্তিও। তবে এমন সব অসামান্য ব্যক্তিত্বদের অভাবনীয় কাহিনীগুলিকে কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বা ভাষায় সীমাবদ্ধ রাখা নয়, বরং দেশব্যাপী সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সহজভাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হলেই হয়ত তাঁদের দেশপ্রেম সাহসিকতা এবং আত্মদানের চিরভাস্বর স্মৃতির প্রতি যথার্থ ন্যায়বিচার করা সম্ভবপর হবে।
তথ্যসূত্র:
১. Raghuveer Prasad Meena, “Veer Bala Kali Bai-Balidan Ki Ek Mahan Misaal”, https://aravalivicharmanch.org, Published on 7th May 2020.
২. Kunwar Kanak Singh Rao, “Dharohar RPSC Grade-1 Samanya Gyan Evam Shaikshik Prabandhan”, Prabhat Prakashan, 1st Edition Published on 06.09. 2022.
৩. Mamta Jeitali, “Aadhi Aabadi Ka Sangharsh”, Rajkamal Prakashan, 1st Edition Published on 2006, 2nd Edtion; 2011.
৪. Dr. Vasavi Kiro, “Bharat Ki Krantikari Adivasi Auratein”, Published by Anugya Books Delhi,1st Edition; 2022.
খুব সুন্দর লেখা। মন ছুঁয়ে গেল।
প্রখ্যাত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ রাজ সিং ডুঙ্গরপুর কি এই পরিবারের সন্তান?