মাননীয় মানব সমাজ
পর্ব ১: মাই লাই হত্যাকাণ্ড
১৬ই মার্চ, ১৯৬৮-এর সকাল বেলায় আমেরিকান ডিভিশনের ১১তম পদাতিক ব্রিগেডের একটা ইউনিট চার্লি কোম্পানির সৈন্যরা দক্ষিণ ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে মাই লাই গ্রামে পৌঁছেছিল। তাদের ৪৮তম ভিয়েতকং ব্যাটালিয়নকে এলাকা থেকে নির্মূল করার জন্য ‘অনুসন্ধান এবং ধ্বংস’ মিশনে পাঠানো হয়েছিল। তারা মাই লাইতে কোনো প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়নি, তবে সেখানে তখনও প্রায় ৭০০ বাসিন্দা ছিল। অবশ্য সেখানে যুদ্ধ করার উপযোগী ও বয়সী কোনো পুরুষ ছিল না। সেই সকালে গ্রামবাসীরা জলখাবার খেতে বসেছে। তা সত্ত্বেও, পরবর্তী তিন ঘণ্টায় সৈন্যরা ৫০৪ জন ভিয়েতনামী নাগরিককে হত্যা করে। ড্রেনের খাদে সারিবদ্ধ করে রেখে অনেককে গুলিবিদ্ধ করা হয়। মৃত বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে ৩ বছর বা তার কম বয়সী ৫০ জন, ৪ থেকে ৭ বছরের মধ্যে ৬৯ জন এবং ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২৭ জন ছিলেন।
এছাড়াও ওই গাঁয়ের ভিয়েতনামী নারীরা ধর্ষিত হন; অন্যান্য বেসামরিক নাগরিকদের ছুরিকাঘাত করা হয়। কিছু মানুষের বুকে খোদাই করা হয় ‘সি কোম্পানি’ স্বাক্ষর। একজন সৈনিক পরে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলে, “আমি তাদের গলা কেটেছি, তাদের হাত কেটেছি, তাদের জিভ কেটেছি, তাদের খুঁচিয়েছি। আমি এটা করেছি কারণ অনেকেই এটা করছিল এবং আমি অনুসরণ করেছি। আমি কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।” শুধুমাত্র একজন আমেরিকান আহত হয়েছিলেন যখন তিনি তাঁর পিস্তল পরিষ্কার করার সময় নিজের পায়ে গুলি করে ফেলেছিলেন।
একজন মাত্র সৈনিক, রবার্ট ম্যাপলস, ড্রেনে থাকা লোকদের ওপর মেশিনগান গুলি করার আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, এমনকি তাঁর কমান্ডিং অফিসারের কথাও তিনি মাননেনি। হিউ থম্পসন, একজন হেলিকপ্টার পাইলট, ভিয়েতনামী নারী ও শিশুদের হত্যা থেকে উদ্ধারের জন্য আমেরিকান সেনাদের ওপর গুলি চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন। একটা ভিয়েতনামী পরিবারের দিকে মার্কিন সৈন্যদের অগ্রসর হতে দেখে তিনি তার হেলিকপ্টার থেকে নেমে অসামরিক ভিয়েতনামীদের উদ্ধারের জন্য গানশিপ ডাকেন এবং তার বন্দুকধারীকে নির্দেশ দেন যদি কোনো আমেরিকান এই নির্দেশের বাইরে গিয়ে অসামরিক মানুষের ওপরে গুলি চালায় তাহলে তাদের ওপর গুলি চালাতে।
১১তম ব্রিগেড অপারেশন চলাকালীন ১২৮ ভিয়েতকংকে হত্যা করেছে বলে পরবর্তীকালে দাবি করে। এই সংখ্যা ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে কোনো ব্রিগেডের দ্বারা নিহত হওয়া সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ। উল্লেখ্য, ব্রিগেড শুধুমাত্র ৩টি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার কথা জানায়। হেলিকপ্টার পাইলট হিউ থম্পসন যখন দাবি করেন যে, বেসামরিক লোকদের হত্যা করা হয়েছে, তখন চার্লি কোম্পানির কমান্ডিং অফিসার আর্নেস্ট মেডিনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কতজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। যদিও তিনি ব্যক্তিগতভাবে কমপক্ষে ১০০টি মৃতদেহ দেখেছিলেন, তবু তিনি বলেছিলেন যে ২০ থেকে ২৮ জন বেসামরিক লোক গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। ১১তম পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল তারান কে হেন্ডারসন এক মাস পরে পেশ করেন তার প্রতিবেদন, তাতেও তিনি একই কথা বলেন।
হত্যাকাণ্ডটি ঢেকে রাখা হয়েছিল
এক বছর পরে মাই লাই-এর ঘটনার বিবরণ দিয়ে অন্য ইউনিটের একজন ২২ বছর বয়সী হেলিকপ্টার গানার, রন রিডেনহোর, ৩০ জন কংগ্রেস প্রতিনিধি এবং সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি লেখেন। ঘটনার তদন্ত করে সেনাবাহিনী। তদন্তকারীরা উপসংহারে পৌঁছেছিল যে, চার্লি কোম্পানির ১০৫ জন সদস্যের মধ্যে ৩৩ জন গণহত্যায় অংশ নিয়েছিল এবং ২৮ জন অফিসার এটিকে ধামাচাপা দিতে সাহায্য করেছিল। তবে মাত্র ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত, শুধুমাত্র একজন সৈনিক, লেফটেন্যান্ট উইলিয়াম ক্যালি, দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। মাই লাই হত্যাকাণ্ডে ক্যালির বিরুদ্ধে ১০৪ জন গ্রামবাসীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
মাই লাই গণহত্যা ভিয়েতনাম যুদ্ধের এক প্রতীক হয়ে ওঠে
৫৫ বছর আগে মাই লাই হত্যাকান্ড ঘটেছে। এই ঘটনার বিবরণ পড়তে গিয়ে লক্ষ্য করবেন যে, একদিকে কিছু আমেরিকান সৈন্য মানুষের সমস্ত মহিমাবিহীনভাবে, মানবিক বিবেক বর্জিত হয়ে সাধারণ মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধদের ওপরে গুলি চালিয়েছে আবার অন্যদিকে তাদেরই এক সামান্য অংশ নিরস্ত্রকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছেন।
পর্ব ২: ইন্দোনেশিয়ার ১৯৬৫-র হত্যাকাণ্ড
ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৬৫-৬৬ সালে কমিউনিস্ট নির্মূলের সময় ৩০ লক্ষ পর্যন্ত মানুষ নিহত হয়েছিল বলে সম্প্রতি মনে করা হচ্ছে । (চিত্র: ইউটিউব)
সেন্ট্রাল জাভার উপকণ্ঠে সেগুন বনের মাঝখানে গাছের পাতায় মাটি ঢাকা পড়েছে। ৭০ বছরের বৃদ্ধ ক্ষীণতনু কৃষক রাদিম ১৯৬৫ সালের এক রাতে এখানে কী ঘটেছিল তা এইভাবে বর্ণনা করেছেন, “তারা গরুর গাড়িতে এসেছিল, তাদের হাত দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করে তাদের পিঠে সৈন্যরা গুলি করে। গণকবর দিয়ে সেই কবরে লাথি মারতে থাকে।” প্রায় ৫০ বছর ধরে সেই সময়ের কথা বলা ছিল নিষিদ্ধ। সরকারি ইতিহাসের বইগুলোতে হত্যাকাণ্ডকে গৌরবোজ্জ্বল করে দেখানো হয়। এমনকী পরবর্তী সরকারগুলো স্বীকার করতে বা ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করে। শিশুদের বিশ্বাস করানো হয় কমিউনিস্টরা হল ধর্মহীন শয়তানের অনুচর।
১৯৬৫ সালের অক্টোবরে, সুহার্তো, ইন্দোনেশিয়ার অত্যন্ত শক্তিশালী সামরিক নেতা, ছয়জন উঁচুপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে এই অজুহাতে ইন্দোনেশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টিকে (পিকেআই) অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা সংগঠিত করার জন্য অভিযুক্ত করেন। পরবর্তী মাসগুলোতে, তিনি পার্টির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য বা কেবল বামপন্থীদের প্রতি সহানুভূতি পোষণ করার জন্য ১০ লক্ষ ইন্দোনেশিয়ানকে একেবারে নির্মূল করার তদারকি করেছিলেন। নিহত ব্যক্তিরা ছাড়াও ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ থেকে ৭.৫ লক্ষ ব্যক্তিকে জেলে আটক করে রাখা হয়েছিল। এই বন্দিদের মাঝে মধ্যেই নৃশংস অত্যাচার করা হত। নির্যাতন সেশনগুলোর সময় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসাবে বন্দীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করার চেষ্টা করা হত; তাদের পার্টি বা সহযোগী সংগঠনের ব্যক্তিদের নাম ও অবস্থান প্রকাশ করার জন্য ভয়াবহ অত্যাচার চলত। জেলে রেশন ছিল ন্যূনতম – নামহীন অজস্র পুরুষ ও মহিলা ক্ষুধার্ত ও অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিল। পিকেআই-এর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের কারাগারের ভেতরে ধর্ষণ সহ তীব্র যৌন নির্যাতন করা হয়৷ নিহত বা আটক ব্যক্তিদের বাড়িঘর এবং সম্পত্তি পুড়িয়ে দেওয়া হয় বা সেনারা সেসব বাজেয়াপ্ত করে। সম্প্রতি বলা হচ্ছে নিহত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ছিল ৩০ লক্ষ।
হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য মিলিশিয়া ইউনিট নিয়োগ করে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের দিতে সেনাবাহিনী প্রধান ভূমিকা পালন করে। এরপর সুহার্তো ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন সমর্থনে একনায়ক হিসেবে শাসন করেন।
রাদিম বলেন, “আমি আর ভয় পাই না, আমি কখনওই ভাবিনি এমন একটা সময় আসবে। আগে আমি শুধু ভয় পেতাম।” অবশ্য এই দেশে এখনও এই কথা বলতে তাকৎ লাগে। অবশ্য অনেক দেশেই সত্য বলতে তাকৎ লাগে।
এখানে এমন অনেককেই খুঁজে পাওয়া সহজ যারা গর্ব করে আপনাকে বলবে যে, তারা ১৯৬৫ সালে কতজনকে হত্যা করেছিল। কীভাবে তারা এটি করেছিল তারিয়ে তারিয়ে সেকথা বলতে তুরীয় আনন্দ লাভ করে। ইন্দোনেশিয়া ঘুরতে গিয়ে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিক ভি এস নইপাল লিখেছিলেন (তিনি কমিউনিস্ট এমনকি বামপন্থী ছিলেন এমন কথা তাঁর শত্রুও বলে না), যখন কমিউনিস্ট ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিলুপ্ত করা হচ্ছে তখন দেশীয় ব্যান্ড নিয়ে গ্রামে গিয়ে তাদের হত্যা করা হত। তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, এর কী প্রয়োজন! তারা অবাক হয়ে বলেছিল, আরে কাজটা সুন্দর করে করতে হবে তো।
যদিও দেশের মধ্যে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে কমিউনিস্টরা, এই অভিযোগে সহিংস পদ্ধতিতে তাদের সমূলে উৎপাটন করা হয় তবে সাম্প্রতিক কালে প্রকাশিত কিছু তথ্য ১৯৬৫ সালের গণহত্যা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ছিল বলে ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর দ্বারা প্রচারিত অতিকথার বিরুদ্ধতা করছে। জেস মেলভিন সেনাবাহিনীর রেকর্ড থেকে লিখেছেন, ইন্দোনেশিয়া স্বাধীন মালয়েশিয়া (গ্যান্যাং মালয়েশিয়া) গঠনের বিরোধিতা করার সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে ১৯৬৫ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করে। সেই সময়ে জাতীয়তাবাদে সুড়সুড়ি দিয়ে সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায় এবং ১লা অক্টোবর ১৯৬৫-তে চালু করা ‘নিশ্চিহ্নকরণ অপারেশন-এর মাধ্যমে তার রাজনৈতিক শত্রুকে খতম করার জন্য এই চেইন অফ কমান্ড ব্যবহার করে।
সশস্ত্র প্রহরায় সন্দেহভাজন কমিউনিস্ট, জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, ডিসেম্বর ১, ১৯৬৫। (চিত্র ঋণ: ফেয়ারফ্যাক্স)
রোরো সবিতা লিখেছেন, ১৯৬৫-৬৬ সালে ভূমি সংস্কারের কারণে বালিতে আনুমানিক ৮০,০০০ জনকে গণহত্যা করা হয়েছিল। ওই অঞ্চলে সম্পত্তির মালিকানা এবং উত্তরাধিকারের সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী ছিল। ১৯৬০ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়া জুড়ে ভূমি সংস্কার বালিতে সংঘর্ষের কারণ হয়েছিল। ভূমি সংস্কার বিরোধীরা জমির ওপর তাদের ক্রমাগত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে পিকেআই-বিরোধী মনোভাব ব্যবহার করেছিল। এই গণহত্যায় উস্কানি দিয়েছিল আমেরিকা ও ব্রিটেন। এ কোনও মনগড়া কথা নয়। ৫০ বছর পরে ব্রিটেন ও আমেরিকার বিভিন্ন তথ্য ডিক্লাসিফায়েড হয়েছে। তার থেকে জানা যায় কীভাবে মিথ্যা প্রচার করে তারা ক্রমাগত উস্কানি দিয়েছে দেশের মধ্যে স্বজাতি নিধনে।
আমেরিকা থেকে প্রকাশিত ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে মার্কিন কূটনৈতিক টেলিগ্রাফগুলোর একটা সিরিজ প্রকাশিত হয়েছে। ওই তারগুলো থেকে জানা যায় যে, জেনারেল সুহার্তোর সরকারের কমিউনিস্ট বিরোধী অভিযানে লক্ষ লক্ষ ইন্দোনেশিয়ানকে হত্যা করার সময়ে সমস্ত তথ্য আমেরিকার অবগত ছিল। খেয়াল রাখতে হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার কমিউনিস্ট নিধনে। কেবলগুলো প্রকাশ্যে প্রমাণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী জানত এবং আমেরিকান সরকার কতটা গণহত্যায় জড়িত ছিল।
২০১৫ সালের নভেম্বরে, ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৬৫ সালের মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাইব্যুনাল ইন্দোনেশিয়া রাষ্ট্রকে ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। সুহার্তোকে মিথ্যা প্রচার ছড়ানো ও গণহত্যার ভিত্তি তৈরি করার জন্য দায়ী করে এবং এই সিদ্ধান্তে আসে যে গণহত্যাগুলো “জনসংখ্যার একটা অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছিল।” শ্রম শিবিরে দাসত্ব, নির্মম নির্যাতন, নিয়মতান্ত্রিক যৌন হিংসা এবং গুমখুন সহ অন্যান্য অভিযোগগুলোও সত্য বলে প্রমাণিত হয়।
সঙ্ঘবদ্ধ মানুষকে কোনো এক জুজুর ভয় দেখিয়ে স্বজাতি নিধনে প্ররোচিত করা যায়। দল বেঁধে গিয়ে আনন্দে নাচ গান করতে করতে অচেনা মানুষকে মারতে, অত্যাচার করতে, অতিকথা ছড়িয়ে দিতে, নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে গণনিধন করতে মানুষ দ্বিধা করেনি। করে না। অন্য কোনো প্রাণ এই পৃথিবীর বুকে এত বিধ্বংসী হয়নি। দশ লক্ষ মানুষকে খুন করেও কেউ দুঃখিত বলেনি। তারা দুঃখিত নয়!
মানুষের নামে মহিমাবিহীন যীশুর সন্তান এই কাজ করতে পারে।
শীর্ষক চিত্র পরিচিতি: ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি ফটোগ্রাফার রোনাল্ড এল. হেবারলে ১৬ মার্চ, ১৯৬৮-এ মাই লাই গণহত্যার পরে তোলা ছবি। বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু রাস্তায় মৃত পড়ে আছেন। (চিত্র ঋণ – উইকিপিডিয়া)
তথ্যসূত্র
- Personal Acounts, Hugh Thompson, an army pilot who landed his craft in between villagers and the rampaging soldiers. He ordered his gunner, Lawrence Colburn, to fire on any soldier who continued pursuing the fleeing villagers. [https://www.digitalhistory.uh.edu/…/vietnam/h_thompson.cfm]
- Letter to Congressmen, Ron Ridenhour, a former GI who wrote to his congressman, after hearing stories of a terrible massacre from his fellow soldiers.
- https://www.digitalhistory.uh.edu/…/ridenhour_letter.cfm
- Thirty years later, memories of My Lai massacre remain fresh, By Paul Alexander, Associated Press writer.
- https://www.digitalhistory.uh.edu/…/mylai_survivor.cfm
- Colonel Oran K. Henderson Report
- https://www.digitalhistory.uh.edu/…/vietnam/reports.cfm
- Jess Melvin, The Road to Genocide: Indonesian Military Planning to Seize State Power Prior to 1 October 1965, The Indonesian Genocide of 1965, Part of the Palgrave Studies in the History of Genocide book series (PSHG), 10 March 2018.
- Roro Sawita, The Connection Between Land Reform and the 1965–1966 Tragedy in Bali, The Indonesian Genocide of 1965, Part of the Palgrave Studies in the History of Genocide book series (PSHG), March 2018.
- Brad Simpson, “Economists with Guns: Authoritarian development and US-Indonesian relations, 1960 to 1968.”, Stanford, 2008.
- McGregor. Katharine E, THE INDONESIAN KILLINGS OF 1965-1966, SciencePro, August 2009 [https://www.sciencespo.fr/…/indonesian-killings-1965…].
- Juliet Perry, Tribunal finds Indonesia guilty of 1965 genocide; US, UK complicit, [https://edition.cnn.com/2016/07/21/asia/indonesia-genocide-panel/index.html].
পড়তে পড়তে অবাক হয়ে দেখলাম, সারা পৃথিবী জুড়ে এই রকমই নারকীয়তার ঘটনা এখনো সমান তালে ঘটে চলেছে। এবং তাকে চেপে রাখার রাষ্ট্রীয় প্রয়াস। মানুষ সব থেকে হিংস্র প্রাণী।
আমরা এমনই মানুষ।