২০,০০০ বছর আগের লকেট ও তার ডিএনএ বিশ্লেষণ
বিজ্ঞানীরা একটি হরিণের ক্যানাইন দাঁত থেকে তৈরি ২০,০০০ বছর আগের লকেট থেকে তার মালিককে সনাক্ত করতে পেরেছেন। এ কোনো ব্যোমকেশের গল্প নয়, পুরো পদ্ধতি ছিল বৈজ্ঞানিক। অবশ্য ব্যোমকেশ থাকলে হয়তো বলতেন সাংখ্য দর্শন পড়া বাবার ছেলে তো যুক্তি দিয়েই অপরাধীকে ধরতে পারতেন। বিজ্ঞানীরা অবশ্য প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ করে করে লকেটের মালিকের সন্ধান পেয়েছেন।
এই পদ্ধতিতে প্রথমেই বুঝে নিতে হয় যে এই লকেট ব্যবহারকারীর দেহের কিছু সামান্য পদার্থ যেমন ত্বকের কোষ, ঘাম বা শরীরের অন্যান্য তরল উপস্থিত থাকে তার ব্যবহৃত জিনিসে। লকেট বা দুল তৈরি করত পশুর হাড়, দাঁত বা টাস্ক থেকে। ছিদ্রযুক্ত পদার্থে তৈরি এই লকেটে লেগে থাকে ব্যবহারকারীর সামান্য ডিএনএ। সেই লকেট বা দুলে লেগে থাকা ডিএনএ বিশ্লেষণ করে হাজার হাজার বছর আগের কোনো মানুষ সম্পর্কে বহু তথ্য জানা সম্ভব।
তখনও সরঞ্জাম হিসাবে বা ব্যক্তিগত সাজসজ্জার জন্য ব্যবহৃত হত দুল, নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ইত্যাদি। গবেষকরা যে লকেটটি খুঁজে পেয়েছেন, যেটি ২৫ থেকে ১৯ হাজার বছরের পুরোনো বলে মনে করা হচ্ছে।
ডিএনএ বিশ্লেষণ থেকে অনুমান করা হয়েছে যে লকেটটির পরিধানকারী একজন মহিলা। তিনি ছিলেন প্রাচীন উত্তর ইউরেশীয় ব্যক্তিদের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যারা একই সময়ে বসবাস করতেন। সেই সময়ের কোনো এক নারী শিকারি-সংগ্রাহক আলতাই পর্বতমালার পাদদেশে সাইবেরিয়ার এই গুহাতে বসবাস করতেন বলে মনে হয়। মহিলাটি দুলটি তৈরি করেছেন নাকি নিছক পরতেন তা অবশ্য জানা যায়নি।
বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে, আমরা আমাদের ভাবনার সঙ্গে বিজ্ঞানের তাল মেলাতে পারছি তো?
– মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
ধারণা ই করা যায় না। কিন্তু ডিএন এ পরীক্ষার যা
গতি প্রকৃতি দেখা যাচ্ছে তাতে অসাধারণ সব আবিষ্কার ঘটে যাওয়া ঘটনার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য হলেও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করে সব কিছু ঠিক ই প্রতিত হচ্ছে।
আমরা শেষ টা দেখছি তাঁদের চোখ দিয়ে। নিজের আপগ্ৰেডেশন কিন্তু হচ্ছে না।
Fascinating !!!