
প্রথম তামাকের ব্যবহার
আমেরিকার উটা মরুভূমিতে পাওয়া গেল পোড়া তামাকের বীজ। এই পোড়া বীজ মানুষের তামাকের প্রাচীনতম ব্যবহারের সাক্ষ্য দেয়। আমেরিকাতে বসবাস করা প্রথম মানুষ এই উদ্ভিদ ব্যবহার করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষকরা বলেছেন, এই আবিষ্কারের ফলে বোঝা যায় যে, আগের ভাবনার অনেক আগে থেকেই মানুষ তামাক ব্যবহার করছে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানুষ যে সমস্ত নেশা জাতীয় উদ্ভিদ ব্যবহার ও অপব্যবহার করে, তামাক তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিশাল। প্রাচীন মায়া এবং অন্যান্য আদিবাসী আমেরিকান গোষ্ঠীর মধ্যে পবিত্র, আনুষ্ঠানিক বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে তামাকের ব্যবহার ছিল। পরবর্তীকালে তামাকের ব্যবহার আমেরিকা থেকে ইউরোপে ছড়ায়। আর এই নেশা দ্রব্যের ব্যবসা আমেরিকা ও ইউরোপের বিশ্ব জুড়ে ঔপনিবেশিক, অর্থনৈতিক এবং পশ্চিমা সম্প্রসারণ চালাতে সাহায্য করে।
এতদিন পর্যন্ত সবচাইতে পুরনো তামাকের ব্যবহার দেখা যায় ৩,৩০০ বছর আগের আমেরিকার আলাবামা অঞ্চলে স্মোকিং পাইপের মধ্যে পাওয়া তামাকে। এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন ১২,৩০০ বছর আগেই তামাকের ব্যবহার ওই অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। ওরা ছিল শিকারী ও সংগ্রাহক। প্রত্নতাত্ত্বিকরা উটার গ্রেট সল্ট লেক মরুভূমিতে ওই শিকারি-সংগ্রাহকদের ক্যাম্প কাদার মধ্যে আবিষ্কার করেছেন। প্রবল হাওয়া সাইটটিকে উন্মোচিত করতে সাহায্য করেছিল। ওখানে পাথরের সরঞ্জাম, চুলা, অজস্র হাড় পাওয়া গেছে। হাড়গুলো মূলতঃ হাঁসের। তাতে কাটা দাগ। চুলার মধ্যে তামাকের পোড়া বীজ পাওয়া গেছে। সম্ভবত ওরা আগুনের পাশে বসে পোড়া তামাক পাতা ও বীজ চিবাতো। তামাকের পাতা বা ডাল দিয়ে কিন্তু আগুন তৈরি করা যায় না। আর হাঁস ইত্যাদি পাখিও তামাক পাতা বা বীজ খায় না। তাই মানুষের তামাক চিবানো বা তামাকের ধোয়া টানার সম্ভাবনাই বেশি।
– মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
পুরো খবরটি নিচের লিঙ্ক থেকে পাবেন।
https://www.livescience.com/earliest-human-tobacco-use-found