ক্ষমা চাইল ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন – সৌজাত্যবাদ প্রচারের জন্য
তুতো-ভাই ফ্রান্সিস গ্যালটন বই লিখলেন, ‘হেরেডিটারি জিনিয়াস’, অর্থাৎ ‘বংশগত প্রতিভা’। তুতো-দাদা চার্লস ডারউইন সেটা পড়ে ভাইকে চিঠি লিখলেন, “এক অর্থে তুমি একজনের মত বদল করাতে পেরেছ। আমি চিরকাল বিশ্বাস করতাম যে, নেহাত কয়েকজন বোকা ছাড়া মানুষের বুদ্ধির দৌড়ে তেমন ফারাক নেই, তফাৎ যেটুকু তা উৎসাহ আর পরিশ্রমে ফারাকের জন্য হয়।”
সত্যিই মানুষে মানুষে বুদ্ধির ফারাক কতটুকু, কেন তাদের সাফল্যে তফাৎ হয়, সে নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকার সুবাদে কিছু মানুষ অন্যদের বুদ্ধি কম বলে অভিহিত করতে পারে, জোর করে তাদের নির্বীজ করতে পারে, এমনকি নাজি জার্মানির মত তাদের ঘেটোতে রেখে গ্যাস চেম্বারে মেরে ফেলতে পারে -এমন ‘বৈজ্ঞানিক কুসংস্কার’ মানুষ কাটিয়ে উঠছে।
সম্প্রতি তার উজ্জ্বল প্রমাণ পাওয়া গেল। সৌজাত্যবাদ তথা ইউজেনিক্স-এর বৌদ্ধিক উৎস ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’ জানাল, তার ইতিহাস কালিমালিপ্ত করেছে সৌজাত্যবিদ্যা। তার জন্য বর্তমান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ক্ষমাপ্রার্থী।
ক্ষমা প্রকাশের খবর দিয়েছে সংবাদপত্র The Guardian।
—- ডা. জয়ন্ত দাস।