প্রাচীন ডিএনএ এবং আমাদের ইতিহাস
(গ্রন্থ নাম: Who we are and How we got here; লেখক: ডেভিড রাইখ; প্রকাশক: অক্সফোর্ড প্রেস)
শেষ কুড়ি বছরে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা আধুনিক মানুষের বিবর্তন ও প্রব্রজন নিয়ে বহু নতুন তথ্য দিয়ে সামগ্রিকভাবে প্রাগিতিহাস ও ইতিহাস রচনায় অভূতপূর্ব দিকনির্দেশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘জিনবিদ্যা’ বা জেনেটিক্স। জিনবিদ্যাভিত্তিক গবেষণা ইতিহাস লেখাতে এনেছে যুগান্তর। জিনবিদ্যার সাহায্যে আমাদের দেহের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করা যায়, সত্তর হাজার বছর আগে একবার আধুনিক মানুষ প্রচন্ড ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় বেরিয়ে পড়েছিল পূর্ব আফ্রিকা থেকে। ওই পরিযানের ফলে আধুনিক মানুষের যে দল আফ্রিকার বাইরে এসেছিল, আজকে আফ্রিকার বাইরে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তাদেরই উত্তরসূরী (চিত্র ১)।
সেই সুদূর অতীতে, সত্তর-বাহাত্তর হাজার বছর আগে, মহাপরিযানের মাধ্যমে আমাদের পূর্বজরা আফ্রিকা থেকে একত্রিত যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু সেই যাত্রার পরিসমাপ্তি হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পথে। আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে একদল ভারত হয়ে মালয়েশিয়া দিয়ে এসেছিল অস্ট্রেলিয়াতে।
- আরেক দল গিয়েছিল ইজরায়েল হয়ে ইউরোপ।
- আবার আরেক গোষ্ঠী ভারতে না ঢুকে আরও উত্তর দিয়ে চলে গিয়েছিল সোজা সাইবেরিয়াতে, তারপর টুক টুক করে একদিন পা রেখেছিল আল্যাস্কা ছাড়িয়ে আমেরিকা মহাদেশে।
এই পর্যন্ত আমরা সকলে জানি, অধিকাংশ মানুষ মেনেও নিয়েছে। তবে ঐতিহাসিক কালের প্রব্রজনগুলি নিয়ে কিছু চর্চার প্রয়োজন আছে। কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া, খাদ্যাভাস বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বহিরাবয়বকে করে তুলেছে ভিন্ন। আজকে কেউ দীর্ঘাকৃতি, কেউ বেঁটেখাটো; কেউ তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বল দেহবর্ণের অধিকারী, কারোর দেহবর্ণ গাঢ়। আর এই শারীরিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্নতা জনগোষ্ঠীগুলিকে দিয়েছে একটা নির্দিষ্ট পরিচয়। ধরা যাক ভারতীয়দের মধ্যে বাঙালি জাতির কথা। তাদের আছে ধর্মভিত্তিক পরিচয়, হিন্দু বা মুসলমান। এখানেই শেষ নয়। হিন্দু হলে ব্রাহ্মণ বা অব্রাহ্মণ। মুসলমান হলে বা সুন্নি। ইত্যাদি চলেছে। মানুষ তার বর্তমান ক্ষুদ্র পরিচয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে। সকলেই মনে করে আমি অবিমিশ্র।
চিত্র – ১
বিজ্ঞান কিন্তু সেকথা বলে না। এই ক্ষুদ্র পরিচয়ের বাইরে আছে এক বৃহত্তর পরিচয়। আমাদের উৎস কী সেই কথা জানতে পারলে বোঝা যাবে বিভিন্ন জাত, বর্ণ, ধর্মগুলির মধ্যে মিল বা অমিল কতটা। বাঙালি ব্রাহ্মণ, বাঙালি বেনে বা বাংলাদেশি মুসলমানের ভিন্নতা ঠিক কোথায়। আর অভিন্নতাই বা কতটা।
যখন কোন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অভাব হয়েছে খাদ্যের মানুষ হাঁটতে শুরু করেছে। তারা দল বেঁধে গেছে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। সেই পথ পেরোতে আগে লেগেছে সহস্র বছর, পরের দিকে লেগেছে কয়েক শত বছর। আর আগন্তুক জনগোষ্ঠী নতুন অঞ্চলে এসে মিশ্রিত হয়েছে পুরাতনদের সাথে। সেই মিশ্রণের পিছনে হয়ত ছিল নারীর প্রয়োজন, সম্পদ সংগ্রহের প্রেরণা। তবে মিশ্রণ হয়েছে।
এই মিশ্রণের ইতিহাস বিশদে জানতে সাহায্য করেছে জিনবিদ্যার এক বিশেষ প্রযুক্তি। এখন শুধু আমাদের দেহের ডিএনএ নয়, বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করছেন ফসিলের প্রাচীন ডিএনএ (ancient DNA)। ফসিলের প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত তথ্য খোঁজ দেয় জনগোষ্ঠীর উৎসের, প্রাগিতিহাসের। এই তথ্যের সাহায্যে যেখানে ফসিল পাওয়া গেছে সেই অঞ্চলে যে পরিযান হয়েছিল তার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা গড়ে তুলতে পারা যায়। আবার নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে কোন ফসিল না পাওয়া গেলেও, তার নিকটবর্তী এলাকায় প্রাপ্ত ফসিলের সাহায্যে ওই অঞ্চলের পরিযানের গতিপথ বুঝতে পারা যায়। যেমন, আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য ভারতবর্ষে প্রাচীন মানুষের ফসিল পাওয়া দুরূহ। তাই রাশিয়ার স্তেপভূমি, ইরান, তুরান ও পাকিস্তানে প্রাপ্ত ফসিলের ডিএনএ বিশ্লেষণের তথ্য সাহায্য করে ভারতবর্ষের পরিযানের রূপরেখা তৈরিতে।
প্রাচীন ডিএনএ-এর সাহায্যে নতুনভাবে ইতিহাস লেখায় যে জিনবিদ অগ্রগণ্য তাদের মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড রাইখ-এর।
ডেভিডের বৈশিষ্ঠ হল তিনি প্রাচীন ডিএনএ থেকে তথ্য আহরণ করে পৃথিবীর মূল পরিযানগুলির ছবি আঁকতে চেষ্টা করছেন (চিত্র ২)। তিনি প্রাচীন ফসিলের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর মূল পরিযানগুলিকে বিশ্লেষণ করে ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া (অর্থাৎ ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা) ও আমেরিকার মূল জনগোষ্ঠীগুলিকে চিহ্নিত করেছেন। পরিযানের সময়কাল নির্ণয় করেছেন। তাদের উৎস এবং মিশ্রণের ফলে গঠিত জাতিগোষ্ঠীগুলির গঠন প্রক্রিয়ার বিবরণ দিয়েছেন।
চিত্র – ২
তিনি খুব ভালোই বুঝেছেন যে, এই দূরবর্তী অতীতের যাত্রাপথ বা মাইগ্রেশন রুটগুলি হৃদয়ঙ্গম করতে সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের একত্রিত চর্চার প্রয়োজন। তাই মূলতঃ জনজাতি জিনবিদ্যার সাহায্যে হলেও এতে তিনি নৃতত্ত্ববিদ, প্রত্ন-ভূতত্ত্ববিদ, শব্দতাত্ত্বিকদের সাহায্য নিয়েছেন। আবার নানা মুনির নানা মতে যাতে যাত্রা ভণ্ডুল না হয় তাই বিভিন্ন অঞ্চলের গবেষণায় সেই অঞ্চলের জিনবিদ ও নৃতাত্ত্বিকদের সাথে একত্রিত গবেষণা করছেন। এই একত্রিত কাজের পরিসর তার বক্তব্যকে সকলের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
বইটা শুরু করেছেন মানুষের সাথে অন্য মানবের সাক্ষাৎকার দিয়ে। আফ্রিকার উত্তরের জনগোষ্ঠী ছাড়া সকল মানুষের শরীরে আছে কিছু অধুনালুপ্ত মানব বা আমাদের জ্ঞাতিদের জিন। অধুনালুপ্ত মানব ‘নিয়েণ্ডারথাল’ ও ‘ডেনিসোভান’ ছিল মানুষের জ্ঞাতি ভাই। এই তিন জ্ঞাতি ভাই সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতি নয়। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ওরা ভৌগোলিকভাবে আলাদা অঞ্চলে থাকত। ভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কোন প্রজাতির দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে যদি যৌন সম্পর্ক দীর্ঘদিন না থাকে তবে বিবর্তনের মাধ্যমে ওরা আলাদা প্রজাতি হয়ে যেতে পারে, এটা নির্ভর করে সময়ের উপরে।
- সাত লক্ষ সত্তর হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ বছর আগে ‘হোমো হাইডেলবার্গেনসিস’ নাম এক মানব থেকে এই তিন ভাইয়ের সৃষ্টি। এদের মধ্যে ‘নিয়েণ্ডারথাল’ ও ‘ডেনিসোভান’-রা আফ্রিকার বাইরে উদ্ভূত হয়েছে। আর আফ্রিকাতে বসবাসকারী শাখাটি থেকে আনুমানিক তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার থেকে তিন লক্ষ বছর আগে আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়েছে। পঁয়ত্রিশ হাজার বছর আগে পর্যন্ত ‘নিয়েণ্ডারথাল’-রা বেঁচে ছিল। দীর্ঘকাল ধরে ওরা ইউরোপ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়াতে বাস করেছে। চলে গিয়েছে রাশিয়ার উত্তরে সাইবেরিয়ায়। ওদের সঙ্গে মানুষের সাক্ষাৎ কোথায় হল, কখন হল?
- আমাদের আরেক জ্ঞাতি ‘ডেনিসোভান’-দের সাথেই বা কোথায় মানুষের সাক্ষাৎ হল? কাদের মধ্যে আছে ডেনিসোভান জিন?
অবলুপ্ত মানবের চিহ্ন রয়ে গেছে আমাদের শরীরে। আর তার সাহায্যে তিনি চেষ্টা করেছেন মানুষের সাথে তার জ্ঞাতিদের মিলনস্থানগুলিকে চিহ্নিত করতে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে তিনি ইউরোপীয়দের উদ্ভবের ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করেছেন। আর এখানে সাহায্য নিয়েছেন ফসিলের প্রাচীন ডিএনএ-এর।
- ইউরোপেও প্রথমে গিয়েছে আফ্রিকা আগত মহাপরিযানের জনগোষ্ঠী। এই ছিচল্লিশ হাজার বছর আগে।
- তার বহু আগে ভারতবর্ষে মানুষ এসেছে। অন্তত পঁয়ষট্টি হাজার বছর আগে। আর অস্ট্রেলিয়াতেও মানুষ ডিঙি চড়ে পৌঁছে গেছে অনেক আগে।
কিন্তু তারপর? তারপর কী হল? প্রায় রোমহর্ষক উপন্যাসের মত তিনি দেখিয়েছেন এরপরে ইউরোপ যায় আনাতোলিয়া (আজকের তুরস্ক) থেকে কৃষিজীবীরা, পরবর্তীকালে আসা যাওয়া করে আরও কিছু প্রব্রজন গোষ্ঠী। আর সবশেষে মাত্র পাঁচ হাজার বছর আগে সেখানে আসে য়াম্নয়ারা। ওরা আমাদের দেশে আগত ইন্দো-ইউরোপীয়দের সাথে সম্পর্কিত। ইউরেশিয়ার স্তেপভূমি থেকে গিয়ে ওরা ইউরোপের তৎকালীন কৃষিজীবীদের হটিয়ে, হারিয়ে দেশ দখল করেছিল, নারীদের অধিকার করেছিল। তাই ওদের নারীদের উৎস আর পুরুষের উৎস এক নয়। নবাগত স্তেপভূমির পশুপালকরা দেশজ নারীদের সাথে মিশ্রিত হয়ে পরবর্তী বংশধর রাখে।
এরপরে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার পরিযানগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। The collision that formed India.
এই উদ্ঘাটন প্রয়াসে তিনি দেশীয় নৃতত্ত্ববিদ ও জিনবিদদের সাহায্য নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে এই দেশে তথ্য সংগ্রহ ও তার বিশ্লেষণে তার কিছু বিড়ম্বনার বর্ণনাও দিয়েছেন। ডিএনএ থেকে সংগৃহিত তথ্য প্রকাশে অহেতুক বাঁধা, শেষপর্যন্ত একই তথ্য একটু ভিন্ন নামে প্রকাশ ইত্যাদি বিবরণ আমাদের গর্বিত করে না।
সে যাক, শেষপর্যন্ত একত্রিতভাবে ওদের গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে। ওদের মূল প্রতিপাদ্য হল,
- এই দেশেও আগে এসেছে আফ্রিকা থেকে মহাপরিযানের মানুষ।
- তারপরে ইরানের জাগ্রোস পর্বতমালা থেকে এসেছে নতুন জনগোষ্ঠী। এদের সময়কাল নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছিল। তিনি প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন যে, ওই জনগোষ্ঠী সিন্ধু তীরে এসেছে আজ থেকে নয় হাজার বছর আগে। আর তারা ছিল কৃষিজীবী। পরে রাখিগড়ির প্রাচীন নারীর ডিএনএ বিশ্লেষণ করে পরবতীকালে প্রকাশিত পেপারে অবশ্য প্রমাণ করা হয়েছে যে, অন্তত বারো হাজার বছর আগে একদল শিকারী সংগ্রাহক সিন্ধু তীরে পরিযান করে। এরাই পরবর্তীকালে তৎকালীন আদিবাসীদের সাথে মিশ্রিত হয়ে গড়ে তুলেছিল হরপ্পীয় সভ্যতা।
- আর মাত্র সাড়ে তিন হাজার বছর আগে স্তেপভূমি থেকে এসেছে অর্ধ যাযাবর পশুপালক ইন্দো-ইউরোপীয়রা।
- এই তিন গোষ্ঠীর মিশ্রণে গড়ে উঠেছে আজকের বিভিন্ন ভারতীয় জাতিগোষ্ঠী।
ডেভিড এক নতুন পথের সন্ধান দিয়েছেন। ইতিহাস পুনর্নির্মাণে ফ্লাডগেট খুলে গেছে। এই পথে ভবিষ্যতে আরও অনেক নতুন তথ্য আসবে; নিশ্চিত থাকুন আমরা জানতে পারব আমাদের পূর্বজদের বিস্তারিত কথা।
তবে পৃথিবীতে জনগোষ্ঠীগুলির পরিযান, মিশ্রণ ও জাতিগোষ্ঠী গঠনের ইতিহাসে এই বইটি এক ল্যান্ডমার্ক হিসেবে থেকে যাবে।
‘মাত্ৰ সাৰে তিন হাজাৰ বছৰ আগে অৰ্দ্ধ যাযাবৰ ইন্দো ইউৰূপীয়দেৰ আগমন ঘটে ‘ এটা কিসেৰ ওপৰ ভিত্তি কৰে বলা হয়েছে , যদি একটু ব্যাখ্যা দেন ।
আফ্রিকার বাইরে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ আফ্রিকার প্রাচীন মানুষদের উত্তরসূরী। এটা জানা ছিল। সত্তর-বাহাত্তর হাজার বছর আগে এই মহাপরিযান অনুষ্ঠিত হয়। এই পরিযান আবার একবার হয়নি বারবার বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে। আফ্রিকার উত্তরের জনগোষ্ঠী, নিয়েণ্ডারথাল এবং ডেনিসোভান তিন জ্ঞাতি ভাই। এগুলো একেবারে নতুন তথ্য। আবার এরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করেছে। হোমো হাইডেলবার্গেনসিস মানব থেকে এদের সৃষ্টি হলেও পরবর্তী দুই গোষ্ঠী আফ্রিকার বাইরে উদ্ভূত হয়েছে। আফ্রিকায় বসবাসকারী শাখা থেকে তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার থেকে তিন লক্ষ বছর আগে আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়েছে।
নিয়েণ্ডারথালরা ইউরোপ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া এবং সাইবেরিয়াতে এরা বেঁচে ছিল পঁয়ত্রিশ হাজার বছর আগে পর্যন্ত।
ডেনিসোভানরা কতদিন আগে পর্যন্ত বেঁচে ছিল? আমরা কী ওদেরই উত্তরসূরী? পঁয়ষট্টি হাজার বছর আগে ভারতীয় উপমহাদেশে কারা এসেছিল?
য়াম্পায়ারা কাদের উত্তরসূরী নিয়েণ্ডারথাল না ডেনিসোভান?
ইরানের জাগ্রোস পর্বতমালা থেকে যে নতুন জনগোষ্ঠী ন’হাজার বছর আগে সিন্ধুতীরে এসেছিল, তারাই বা কাদের উত্তরসূরী?
রাখিগর্হি অঞ্চলে বারো হাজার বছর আগে যে শিকারি সংগ্রাহকরা এসেছিল, তারাই বা কাদের উত্তরসূরী?
এই সব প্রশ্নের উত্তর মিললে মনে হয় বোঝা যাবে হরপ্পীয় সভ্যতা কারা গড়ে তুলেছিল। সত্যি সত্যিই ডেডিড রাইখ ইতিহাস নতুন করে লিখবার ঝড় তুলে দিয়েছেন। বইটি ল্যান্ডমার্ক হিসেবে চিহ্নিত হবেই, এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত আমি। ভীষণ ভালো এবং সময়োপযোগী একটা কাজ করেছেন। অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।
Beautiful review of a very important book. Everyone interested to know the origin of various ethnic groups must read this book.