লেখ ও লিপিচর্চার প্রবাদপ্রতিম ডঃ দীনেশচন্দ্র সরকার
শিলালেখ – তাম্রশাসনাদি বিষয়ক গবেষণার সাথে বাংলার যে অগ্রগণ্য লিপি বিশারদের নাম জড়িয়ে আছে, তিনি হলেন ড. দীনেশচন্দ্র সরকার। রাজেন্দ্রলাল মিত্রের হাত ধরে যার সূত্রপাত এবং রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়দের সেই উত্তরাধিকার ড. সরকার সার্থক ভাবে বহন করে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। পূর্ববঙ্গের ফরিদপুর জেলার শালকাঠী কৃষ্ণনগর গ্রামে এক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক পরিবারে ১৯০৭ সালের ৭ জুন দীনেশচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতামাতা হলেন যজ্ঞেশ্বর ও কুসুমকুমারী সরকার।
১৯২৯ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে সংস্কৃতে সাম্মানিক স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি (লেখবিদ্যা ও মুদ্রাতত্ত্ব শাখা) বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তর স্বর্ণপদক লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কৃতি শিক্ষার্থী ১৯৩৪ সালে ‘প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ’ বৃত্তি লাভ করেন। এরপর ১৯৩৬-এ ডক্টরেট ডিগ্রি এবং পরের বছর ‘মুআট’ (Mouat) স্বর্ণপদক লাভ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের লেকচারার (১৯৩৭-৪৯) পদে ডক্টর সরকার তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। মুদ্রাতত্ত্ব ও লেখবিদ্যার চর্চায় তাঁর সুগভীর আগ্রহ ছিল। ইতিহাসের পাথুরে প্রমাণের খোঁজে প্রত্নবিদ্যার চর্চায় তিনি নিজেকে আজীবন নিয়োজিত রেখেছিলেন। তিনি ভারত সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগের লেখবিদ্যা শাখায় প্রথমে Assistant Superintendent for Epigraphy ও পরবর্তীতে Superintendent for Epigraphy এবং Government Epigraphist for India পদে দায়িত্ব পালন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির ‘কারমাইকেল অধ্যাপক’ (১৯৬১-৭২), ঐ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (১৯৬৫-৭২) এবং বিভাগীয় উচ্চশিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (১৯৬৫-৭৪)। এছাড়া অতিথি অধ্যাপক হিসেবে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
জীবনব্যাপী প্রত্নতত্ত্ব ও লিপি সাধনার ফলস্বরূপ বেশ কিছু গবেষণা গ্রন্থ তিনি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থসংখ্যা উনষাট এবং প্রবন্ধাদির সংখ্যা সহস্রাধিক। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রচিত গ্রন্থ –
The Successors of the Satavahanas in the Eastern Deccan
The Early Pallavas
The Successors of the Satavahanas in the Lower Deccan
Select Inscriptions bearing on Indian History and Civilization
A Grammar of the Prakrit Language
The Sakta Pithas, Inscriptions of Asoka
The Maski Inscription of Asoka
Indian Epigraphy
Studies in Indian Coins.
আর সম্পাদিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য–
Epigraphia Indica
Annual Report on Indian Epigraphy
Land System and Feudalism in Ancient India
Journal of Ancient Indian History
Early Indian Indigenous Coins
Social Life in Ancient Indian Numismatic
Religious Life in Ancient India
বাংলা গ্রন্থাবলীর মধ্যে অশোকের বাণী, পাল-পূর্ব যুগের বংশানুচরিত, পাল-সেন যুগের বংশানুচরিত, শিলালেখ-তাম্রশাসনাদির প্রসঙ্গ, সাংস্কৃতিক ইতিহাসের প্রসঙ্গ (১ম ও ২য় খণ্ড) বিশেষভাবে পরিচিত। এপিগ্রাফিয়া ইন্ডিকা পত্রিকায় তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ২০৭টি। ওতে এত বেশি সংখ্যক প্রবন্ধ আর কেউ লিখতে পারেননি।
ইতিহাসের সমস্যা সমাধানে ও প্রচলিত ধারণার পাথুরে ভিত্তির খোঁজে তিনি আজীবন অক্লান্তচিত্তে কাজ করে গেছেন। রীতিমত আবিষ্কারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি সারা ভারত ব্যাপী লেখ বা ইতিহাসের উপাদানের অনুসন্ধানে পরিক্রমা চালিয়ে গেছেন। অতি দুর্গম প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে চলে যেতেন প্রাচীন উপাদানের খোঁজে। শিলালেখ-তাম্রশাসনাদি এবং মূর্তি ও মুদ্রায় খোদিত বা উৎকীর্ণ লিপির যথাযথ পাঠোদ্ধার তাঁর কাছে অতি প্রিয় কাজ ছিল। তিনি এতে অনায়াস, স্বচ্ছন্দ ও দ্বিধাহীন ছিলেন। ইতিহাসবিদ অধ্যাপক দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, “পুরাতাত্ত্বিক বিদ্বৎসমাজে দীনেশচন্দ্র এক বিশ্রুতকীর্তি ব্যক্তিত্ব। প্রত্নলেখবিদ্যায় তাঁর অসামান্য ব্যুৎপত্তি, লিপিতত্ত্বে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী সম্রাট। সংস্কৃত, পালি ও প্রাকৃত ভাষায় তিনি মহাজ্ঞানী। তাছাড়া নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও বিষয়ের প্রতি অনুরাগেও তিনি অনতিক্রম্য। তাঁর মূল্যবান গবেষণায় ভারত-ইতিহাস সমৃদ্ধ হয়েছে, তাঁর অমূল্য রচনাসম্ভারে ভারত-ইতিহাসের বিভিন্ন দিক উন্মোচিত ও আলোকিত হয়েছে। কত যে লেখ তিনি সম্পাদনা করেছেন, কত না তথ্য তিনি উদঘাটন করেছেন, কত যে ভ্রান্ত ধারণার তিনি অবসান ঘটিয়েছেন, তা ভাবলে বিস্মিত, রোমাঞ্চিত হতে হয়। বস্তুত, প্রাচীন ভারত-ইতিহাসের এমন কোনও পর্ব বা বিষয় নেই যা তাঁর লেখনীতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠেনি।”
শিলালেখ-তাম্রশাসনাদি, লেখবিদ্যা, মুদ্রাতত্ত্ব, রাজবৃত্তের ইতিহাস, ভূগোল, অভিধান, সমাজ, শাসনব্যবস্থা, ধর্মজীবন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, রামায়ণ-মহাভারত-পুরাণাদি, মূর্তিতত্ত্ব, সংস্কৃত-প্রাকৃত-পালি সাহিত্য প্রভৃতি ভারতবিদ্যা সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়েই তাঁর রচনা প্রকাশিত হয়েছে। পণ্ডিতেরা বলেছেন যে, দীনেশচন্দ্রের নামই তাঁর রচনার উচ্চমানের পক্ষে ‘যথেষ্ট নিশ্চিন্ত’ এবং তিনি যা কিছু লেখেন সে সবের ভিত্তি অত্যন্ত ব্যাপ্ত, নির্ভরযোগ্য ও বস্তুনিষ্ঠ।
সমসাময়িক বিশিষ্ট গবেষক প্রবোধচন্দ্র সেন ডক্টর দীনেশচন্দ্র সরকারের গবেষণা কর্মের বিষয়ে মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতে, “প্রকৃতপক্ষে বর্তমানকালে ভারতীয় প্রত্নবিদ্যার ক্ষেত্রে তিনি ‘একশ্চন্দ্রস্তমো হন্তি’ (একক চাঁদের আলোকে উজ্জ্বল) এই কবিবাক্যের সত্যতা প্রতিপন্ন করেছেন, এ কথা বললে কিছুমাত্র বাড়িয়ে বলা হয় না। দৃষ্টান্ত হিসাবে শুধু এটুকু বলাই যথেষ্ট যে, গত পঞ্চান্ন বৎসরে আবিষ্কৃত অশোকের সাতাশটি ব্রাহ্মী লেখের মধ্যে পঁচিশটিরই পাঠোদ্ধার ও ব্যাখ্যা করেছেন প্রত্নতত্ত্বাচার্য দীনেশচন্দ্র। তাঁর লেখা ‘Inscription of Asoka’ নামক বইটি সমস্ত পৃথিবীতে সমাদৃত এবং সর্বজনপাঠ্য মূল্যবান গ্রন্থ বলে গণ্য হয়েছে। যদি কোনো বিশেষণ দিয়ে তাঁর পরিচয় দিতে হয় তবে বোধ করি তাঁকে বলা যায় ‘প্রত্নবিদ্যা-রত্নাকর’। অতীতের খনি খুঁড়ে তিনি যে কত রত্ন উদ্ধার ও পরিশোধন করেছেন তার সীমাসংখ্যা নেই।”
ড. সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সভা-সম্মেলনে বহু বক্তৃতা প্রদান করেছেন। ১৯৭৪ সালে একবার তেমনই একটি সভায় আমেরিকার কোনও ওরিয়েন্টাল ক্লাবে প্রাচীন ভারতেতিহাস সম্বন্ধীয় কয়েকটি সমস্যার বিষয়ে তিনি বক্তৃতা দেন। ক্লাব এর সম্পাদক তাঁকে “so well known around the world as the greatest master now living in this field of Study” বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন। JRAS (লন্ডন) পত্রিকার সম্পাদক লিখেছেন, দীনেশচন্দ্র এই নামটাই হচ্ছে “a household word in the orientalist circles here.”
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ভারতবর্ষের ইতিহাস’ শীর্ষক প্রবন্ধের এক জায়গায় লিখেছেন, “ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় দফ্তর হইতে তাহার রাজবংশমালা ও জয়পরাজয়ের কাগজপত্র না পাইলে যাঁহারা ভারতবর্ষের ইতিহাস সম্বন্ধে হতাশ্বাস হইয়া পড়েন এবং বলেন যেখানে পলিটিক্স্ নাই সেখানে আবার হিস্ট্রি কীসের, তাঁহারা ধানের খেতে বেগুন খুঁজিতে যান এবং না পাইলে মনের ক্ষোভে ধানকে শস্যের মধ্যেই গণ্য করেন না। সকল খেতের আবাদ এক নহে, ইহা জানিয়া যে ব্যক্তি যথাস্থানে উপযুক্ত শস্যের প্রত্যাশা করে সেই প্রাজ্ঞ।” ডক্টর দীনেশচন্দ্র সরকার ছিলেন, সেই প্রাজ্ঞ ইতিহাসবেত্তা। যিনি সঠিক উৎস হতে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি অনায়াসে বেছে নিতে পারেন এবং এর সঠিক ব্যবহার করতে পারেন। প্রবোধচন্দ্র সেন এক্ষেত্রে লিখেছেন, “প্রত্নতত্ত্বের মতো আপাতনীরস বিষয়কেও অতি সহজ, স্বচ্ছ ও সুন্দর ভাষায় পাঠকের বুদ্ধি ও হৃদয়-গত করবার আশ্চর্য ক্ষমতা তাঁর আছে।”
অগ্রজপ্রতিম পণ্ডিত প্রবোধচন্দ্র সেনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দীনেশচন্দ্র বাংলার পাথুরে প্রমাণ নির্ভর বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস রচনায় ব্রতী হয়েছিলেন। পাল-পূর্ব এবং পাল-সেন যুগের বংশানুরচিত এক্ষেত্রে দুটি উল্লেখযোগ্য কাজ বলা যায়। যা আজও প্রাসঙ্গিক। বাঙালী জাতির ইতিহাস নাই – বঙ্কিমচন্দ্রের এই খেদোক্তি নিরসনে যে ক’জন বাঙালী ইতিহাসবেত্তা সাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন, দীনেশচন্দ্র সরকার তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য।
ড. সরকার আজীবন শিলালেখ-তাম্রশাসনাদি চর্চায় নিয়োজিত ছিলেন, যা মূলত রাজবৃত্তের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বিবেচিত। তিনি একে বৃহত্তর জন-ইতিহাস নির্মাণের একটি অংশ হিসেবে বিবেচনা করেন। এ বিষয়ে তাঁর সুস্পষ্ট অভিমত হলো, “আজকাল একশ্রেণীর ঐতিহাসিক বলছেন যে, জনসাধারণের কাহিনীই প্রকৃত ইতিহাস; সুতরাং ইতিহাসে রাজাদের কথা অনেকটা অবান্তর। কিন্তু রাজগণের অলোচনা দ্বারা কালানুক্রমিক রাজনৈতিক ইতিহাসের একটা পটভূমি বা কাঠামো প্রস্তুত না করলে জনসাধারণের কাহিনী যথাযথভাবে দাঁড় করানো যাবে না। প্রাচীন ভারতীয়দের লিখিত কোনও ইতিহাস না থাকায়, এটার বিশেষ প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে। মেগাস্থেনিস যে যুগের ভারতবাসীর কথা বলেছেন তার আলোচনা করতে গেলেই তো চন্দ্রগুপ্ত এবং তাঁর সাম্রাজ্যের বিষয় এসে পড়ে। তাছাড়া, অশোক কেবলমাত্র রাজা ছিলেন না; তাঁর সমাজসংস্কার এবং ধর্মপ্রচারের কথা ভুললে চলবে না। অশোকের অনুশাসনমালার প্রধান কথাই হল, কিসে জনসাধারণের ধর্মভাব বর্ধিত হবে এবং কী করলে তারা ইহলোকে ও পরলোকে সুখী হবে। এ তো জনসাধারণেরই কথা। একে রাজরাজড়ার ইতিহাস বলে অবজ্ঞা প্রদর্শন, গোঁড়ামি ব্যতীত আর কিছু নয়।”
ড. সরকার বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, পুরাভিলেখ পরিষদ, বিহার গবেষণা সমিতি, বিহার পুরাতত্ত্ব ও সংস্কৃতি পরিষদ এবং মুদ্রাতত্ত্ব পরিষদের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। এশিয়াটিক সোসাইটি দ্বারা স্যার উইলিয়ামস জোনস স্মৃতিপদক (১৯৭২), ভারতীয় মুদ্রাতত্ত্ব পরিষদ কর্তৃক ‘আকবর পদক’ (১৯৭৩), নবনালন্দা মহাবিহার কর্তৃক ‘বিদ্যাবারিধি’ উপাধি লাভ (১৯৭৫), ভারতীয় পুরাভিলেখ পরিষদের ‘তাম্রপত্র’ (১৯৭৮), এবং ভারতীয় সরকারী পুরাতত্ত্ব বিভাগের Honorary Correspondent (১৯৭৫) প্রভৃতি সম্মান লাভ করেন।
প্রবোধচন্দ্র সেন মহাশয় তাঁকে অক্ষয়কুমার, রাখালদাস প্রমুখ জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর শেষ জ্যোতিষ্ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। ১৯৮৫ সালের ৮ই জানুয়ারি ভারতীয় প্রত্নবিদ্যা চর্চার সেই শেষ জ্যোতিষ্কের জীবনদীপ নির্বাপিত হয়।
তথ্যসূত্র:
১. শিলালেখ-তাম্রশাসনাদির প্রসঙ্গ : ড. দীনেশচন্দ্র সরকার, (দ্বিতীয় সংস্করণ প্রসঙ্গে: দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায়; মুখবন্ধ : প্রবোধচন্দ্র সেন; গ্রন্থকার পরিচিতি,পুনর্মুদ্রণ: মে, ২০১৯), সাহিত্যলোক।
২. অশোকের বাণী (ভূমিকা, পরিবর্ধিত দ্বিতীয় সংস্করণ: জুলাই, ২০০১: ড. দীনেশচন্দ্র সরকার, সাহিত্যলোক।
৩. পাল-পূর্ব যুগের বংশানুচরিত: ড. দীনেশচন্দ্র সরকার, (পুনর্মুদ্রণ: এপ্রিল, ২০১৫) সাহিত্যলোক।
৪. পাল-সেন যুগের বংশানুচরিত: ড. দীনেশচন্দ্র সরকার, (পুনর্মুদ্রণ: আগস্ট, ২০১৭) সাহিত্যলোক।
৫. ইতিহাস : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, (শ্রাবণ ১৩৬২) বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ।
একজন অসম্ভব প্রতিভাধর মানুষ ছিলেন
যথার্থ বলেছেন।
ধন্যবাদ।