পম্পেই’এর রথ
পম্পেই’এর কথা আমরা অনেক শুনেছি। অনেকেই হয়তো পড়েছি এডওয়ার্ড বুলবের-লিট্টন’এর লেখা “The Last Days of Pompeii” বইটাও। প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের এই সমৃদ্ধ নগরী রাতারাতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ৭৯ সাধারণ অব্দে – মাউন্ট ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতে।
প্রায় দু’হাজার বছর ধরে ভিসুভিয়াসের ছাইয়ের তলায় চাপা পড়ে থাকা পম্পেই আজকের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতত্ববিদদের কাছে এক সোনার খনি। ছাইয়ের তলায় সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে সেই যুগের ঘর বাড়ি, আসবাব এবং অন্যান্য জিনিসপত্র যা থেকে আমরা সেই সময়কার রোমানদের জীবনযাপন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি।
সম্প্রতি এই পম্পেই’তে আবিষ্কৃত হয়েছে একটি রথ – প্রায় অক্ষত অবস্থায়। অবশ্য ঠিক পম্পেই’তে নয়, পম্পেই শহরের উত্তর দিকে, শহরের দেওয়ালের বাইরে ভুমধ্যসাগরের কুলবর্তী এক বসতিতে যেখানে যেখানে বাস করতেন সেই যুগের অভিজাতরা। ভূমধ্যসাগরের শোভা দেখতে দেখতে জীবন কাটান তাঁরা। প্রসঙ্গত, এই বসতির ধ্বংসাবশেষেই বছর খানেক আগে পাওয়া গিয়েছিল এক রোমান অভিজাতএবং তার পুরুষ পরিচারকের কঙ্কাল ভিসুভিয়াসের প্রকোপ থেকে যাঁদের নিস্তার মেলেনি।
পম্পেই’তে যে এই প্রথম রথের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেল এমন নয়। পম্পেই’তে এর আগেও রথের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। তবে সেই রথ’গুলি ছিল কৃষিজাত পণ্য বহন করার রথ। বর্তমানে যে রথ’টির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে তার বিশেষত্ব হল যে এই রথ’টি ছিল অনুষ্ঠান এবং উৎসব সমারোহের রথ। খুব সম্ভব সদ্য বিয়ে হওয়া কনেকে স্বামীর ঘরে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত হত এই রথ’টি।
পম্পেই’এ এই নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে সচিত্র বিস্তারিত তথ্যের জন্য ব্যবহার করুন নিচের লিংক’টি।
– শান্তনু ভৌমিক