আজকে বাংলাদেশে পালিত হবে পয়লা বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। আবার আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গে আড়ম্বরের সঙ্গে নববর্ষের সূচনা হবে।
এদিকের বাঙালি পেট পুজো করবেন মাছ, মাংস মিষ্টি দিয়ে। অবধারিতভাবে বাংলাদেশেও মানুষের পাতে থাকবে ভাতের সঙ্গে মাছ, বিশেষ করে শুঁটকি দিয়ে পান্তা ভাত। ৪০o সেলসিয়াসে এই খাবারের বিকল্প নেই। অবশ্য কড়ি গুনতে পারলে আকালের ইলিশ মাছও থাকতে পারে পান্তা ভাতের সঙ্গে।
এসব ছোটোখাটো পার্থক্য থাকুক, তবে বৈশাখ মাসে পয়লা বৈশাখ এবং ২৫শে বৈশাখ হল বাঙালির প্রাণের উৎসব। ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব, তাতে যোগ দেবেন সব ধর্মের সব অঞ্চলের বেবাক মানুষ।
বাংলা নববর্ষের আগে আসে চৈত্র সংক্রান্তি। চলে বিভিন্ন দোকান ও শিল্পশালা ধোয়া মোছা, পুরানো জিনিসপত্র স্বল্পমূল্যে বিক্রিবাটা। চৈত্র সংক্রান্তির দিন গাজন উৎসব উপলক্ষ্যে চড়ক পূজা হয় গ্রামে গ্রামান্তরে। তারপরে নতুন বছরের প্রথম দিনে বিভিন্ন ব্যবসায়ী শুরু করেন হালখাতা খোলা, কোলাকুলি, মিষ্টি বিতরণ।
চলে আনন্দ, মেলা, যাত্রা, শোভাযাত্রা।
চকোলেট ডে, হাগ্ ডে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে, ক্রিসমাস ডে, পুজোর সময় আনন্দমেলা, খাদ্য মেলা, শিল্প মেলা, এসবের মধ্যে গুঁজে আছে সপ্তাহভর বই মেলা - চলুক। আরও যা সব 'ডে', মেলা, খেলা, হপ্তা আছে সব চলুক। বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। অথবা হুজুগে বাঙালি। অথবা বাজারের রমরমা। এই মেলাই দেয় মাঝারি ও ছোটো প্রকাশকদের আশ্বাস। বড় প্রকাশকদের প্রচার। বই মেলা চাই। বই মেলা হয়ে উঠুক আনন্দ মেলা , তবে তাতে বিক্রি বাটাও যে চাই। শুধু খাবার নয়, বইয়ের, লিটিল ম্যাগাজিনের- সব ধরনের প্রকাশনা সংস্থার বইয়ের।