সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

সামাজিক ইতিহাস

সৃষ্টি যেদিন ধ্বংস হয়ে যাবে, সেই দিন কেমন হবে? এর বর্ণনা বিভিন্ন ধর্ম দিয়েছে বিভিন্ন ভাবে। অনেক সময়, এক-ই ধর্মের মধ্যেই পাওয়া যায় এই সৃষ্টি শেষের মহাপ্রলয়ের ভিন্ন ভিন্ন বিবরণ। খ্রিস্ট ধর্মের ঐতিহ্যেও শেষের সে দিন কেমন, তার বিবিধ বর্ণনা মেলে। তবে এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত প্রলয়ের ভাষ্যের হদিশ সম্ভবতঃ রয়েছে বাইবেলের ‘বুক অফ রিভিলেশন’-এ। বলা হয়েছে প্রলয়কালে ধরায় অবতীর্ণ হবেন চার অশ্বারোহী। এই প্রলয়ের অশ্বারোহীদের পরিচয় কী ও তাঁরা ঠিক কীসের প্রতিক, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে সর্বাপেক্ষা প্রচলিত মত অনুসারে এই চার সওয়ার হলেন যথাক্রমে পেস্টিলেন্স বা মহামারী, ওয়ার বা যুদ্ধ, ফেমিন বা দুর্ভিক্ষ এবং সর্বোপরি ডেথ বা মৃত্যুর প্রতীক। ঠিক এই কারণেই, আপনি যদি সপ্তদশ শতকের ইউরোপের বাসিন্দা কোনও ধার্মিক খ্রিস্টান হতেন, তাহলে এ’কথা আপনার মনে হওয়া অতি স্বাভাবিক ছিল যে, মহাপ্রলয়ের কাল সমাগত।
আবুল ফজল তাঁর আইন-ই-আকবরিতে লিখছেন, গোটা হিন্দোস্তান সমেত দেশ-বিদেশের দাস বাজার কিংবা আমির ওমরাহদের হারেমের জন্য সন্দলি বা আলতসি, বাদামি আর কাফুরি নামের তিন শ্রেণির খোজা’র যোগান আসত সুবা বাংলা থেকে। সন্দলি খোজাদের গোটা পুরুষাঙ্গ কাটা থাকত, বাদামি খোজাদের লিঙ্গ থাকত অর্ধকর্তিত আর কাফুরিদের অণ্ডকোষ দুটি কেটে বাদ বা অকেজো করে দেওয়া থাকত। দৈহিক বিকৃতি বাদে গায়ের রঙ দিয়েও সন্দলি, বাদামি আর কাফুরি খোজারা পরিচিত হতেন। সন্দলি আর বাদামি অর্থে ফর্সা আর মাঝারি গায়ের রঙের সুদর্শন খোজা আর কাফুরি বা কর্পূরের সাদা রং দিয়ে কালো খোজাদের বোঝানো হতো। গাত্রবর্ণ, শারীরিক গঠন, আর্থসামাজিক অবস্থান আর খোজার আদত মুলুকের ওপরও নির্ভর করত একজন বালক বা পুরুষের জন্য উপরোক্ত তিন ধরনের মধ্যে কোন খোজাকরণ পদ্ধতিটি নেওয়া হবে!