ছুটতে ছুটতে দারিয়ানাসু তার থেকে দরজার দূরত্ব আরেকবার মনে মনে মেপে নেয়, আর মুখে ফুটে ওঠে মৃদু হাসি। নিশ্চিন্ত হবার হাসি, পেছনে ছোটা ঘোড়সওয়ারদের বোকা বানানোর হাসি। আরও পিছনে হৈহৈ করতে থাকা লোকগুলোকে এখন দেখা যাচ্ছে না, টিলার আড়ালে হারিয়ে গেছে। ঘোড়সওয়ারদেরও আগেই সে বোকা বানিয়ে দিতে পারত। হরিণের মতো ছুটতে পারে সে, কিন্তু পিঠের বোঝাটা ফেলে দিতে চায়নি। অবশ্য তাতে কিছু ক্ষতি হয়নি, আর দশবার শ্বাস নিতে-না-নিতেই সে পৌঁছে যাবে গোল দরজার পাশের ফাঁকটায়। ব্যাস, তারপর একটা ছোট্ট লাফ, তারপর দু’পলকে দরজার ফাঁকটুকু বুজে যাবে। হাঃ হাঃ হাঃ, ঘোড়সওয়ারগুলো বুঝতেই পারবে না কোথায় ভ্যানিস হল তাদের শিকার, ছাউনিতে গিয়ে আষাঢ়ে গল্প ফাঁদবে অন্যদের কাছে, বলবে ভুতুড়ে মানুষের কথা, যাদের দেখা যায় কিন্তু ধরতে গেলেই হাওয়া হয়ে যায়।