সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

বিবিধ

বাংলাদেশ, মানে একসময়ের অবিভক্ত ভূখণ্ড (যার সীমানা অবশ্য বার বার পরিবর্তিত হয়েছে) সেই কোনো এক সময়ে ছিল বিপুল শিল্প ও বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। বস্তুত, বাংলার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল একসময়ে প্রায় সারা পৃথিবীর শ্লাঘার বিষয়। আশ্চর্য হলেও সত্যি, এর একটি ছিল বাংলার জাহাজশিল্প। আজকের তাম্রলিপ্ত অঞ্চল, কিছুটা মোগল শাসন কেন্দ্রিক ঢাকা অঞ্চল আর মূলত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী তীরবর্তী অঞ্চল ছিল এর উৎস। পরবর্তীকালে সপ্তগ্রাম, হুগলী ও কলকাতায় এর রেশ ছিল। এর ইতিহাস দীর্ঘ, বিচিত্র এবং শেষ অবধি প্রায় গ্রিক ট্র্যাজেডির তুল্য বিয়োগান্তক পরিণতির শিকার, সৌজন্যে ইংরেজ বানিয়া ও রাজশক্তি। আজ তাকেই কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
১৯৩৫ সাল। ফ্যাসিবাদী ইতালির এবং নাৎসি জার্মানির রণহুঙ্কার যেন তখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই ১৯৩৪ সালের ২রা আগস্ট প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গের মৃত্যুর পর হিটলার নিজেই প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলর উভয় পদই দখল করে নিয়েছেন এবং নিজেকে ফ্যুয়েরার হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে ইহুদিদের উপর জার্মান নিপীড়ন। সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য পূরণে মুসোলিনির প্রথম প্রয়াস হল আবিসিনিয়া দখল করা। ইতালিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্থান অনুসন্ধান, খাদ্য সংস্থান, শিল্পের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ, ও উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রী বিপণনের উপযুক্ত বাজার ইত্যাদির জন্য আবিসিনিয়া তথা ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা দখল করার জন্য ইতালি সচেষ্ট ছিল।
প্রথমেই বলে রাখি—যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে অত্যন্ত আপন। আমার জন্মের বহু আগে, ব্রিটিশ রাজ যখন আমাদের দেশকে লৌহশৃঙ্খলে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে, তখনই এর প্রথম বীজ রোপিত হয়েছিল, জাতীয় শিক্ষা পরিষদ-এর (National Council of Education) মাধ্যমে। ১৯০৬ সালের ১১ই মার্চ এই প্রতিষ্ঠানের সূত্রপাত হয়, সে সময়ের যত জ্ঞানীগুণী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন সবাই এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ছিলেন। এসব কাহিনী আগে এক সময় বলেছি। এই বিদ্বজ্জনের মধ্যে আমার প্রপিতামহ মহারাজা সূর্য্যকান্ত আচার্য্যও ছিলেন। তিনি বড়ো রকমের অর্থসাহায্যও করেছিলেন। প্রসঙ্গত বলি, রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক এবং আমার প্রপিতামহ—এই দুজনের জমি নিয়ে এখনকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্যাম্পাস তৈরি হয়েছিল। বিশেষত এই কারণেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার নাড়ির যোগ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামের ব্যাপক প্রসারের পরেও হিন্দু তথা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাব টিকে আছে। ইসলামের জন্মের বহু পূর্বে এই অঞ্চলে ভারত থেকে হিন্দুদের সঙ্গে এসেছিল হিন্দু ধর্ম, পৌরাণিক কাহিনী মায় সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য৷ প্রসারের মাত্রা ও গভীরতায় পার্থক্য থাকলেও ভারতীয় হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্ম কেন সাধারণ মানুষের মধ্যে গৃহীত হল সেটা আমরা এই আলোচনায় বুঝতে চাই। বিভিন্ন গবেষক-পণ্ডিতদের বিশ্লেষণ এখানে তুলে ধরা হবে, তবে একটি বিষয় মনে রাখা দরকার— তা হল গবেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি। ঘটনাকে অনেকে নিজের মতো করে গেঁথেছেন এবং একটি সত্য ‘আবিষ্কার’-এর ছলে উপস্থাপন করেছেন।