সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

বিবিধ

জেন অস্টেন তাঁর নভেলগুলির খসড়া লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন ১৭৯৫ সালে, যখন তাঁর বয়স মাত্র একুশ। জেনের তিনটি উপন্যাস – ‘সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি’, ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ ও ‘নর্দাঙ্গার অ্যাবে’-র প্রথম খসড়া ১৭৯৫ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যেই লেখা হয়ে গিয়েছিল। নভেলগুলি ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হতে শুরু করল অবশ্য ১৮১১ সাল থেকে। মাঝের সময়টায় আগের খসড়াকে তিনি নানাভাবে বদলেছেন, সমৃদ্ধ ও পরিণত করেছেন। ১৮১৩ থেকে ১৮১৬ সালের মধ্যে ‘ম্যানসফিল্ড পার্ক’, ‘এমা’ ও ‘পারসুয়েশান’ নামে তিনটি নতুন উপন্যাসও তিনি লেখেন। নিবিড় পাঠক শুধু এই উপন্যাসগুলির ভিত্তিতেই সে সময়কার ইংল্যান্ড বিষয়ে বেশ কিছু খবর আমাদের জানাতে পারবেন। আপাতত আমাদের দেখার বিষয় সমকালীন ইংল্যান্ডের যানবাহন ও যাতায়াত সম্পর্কে জেন অস্টেনের উপন্যাস আমাদের কী জানায়। সেই তথ্যের সঙ্গে সেকালের এই বিষয়ক সামাজিক সাংস্কৃতিক ইতিহাসের কিছু তথ্য মেলালে আমরা দূর দেশকালে বসেও সেই সময়টাকে খানিকটা উপলব্ধি করতে সক্ষম হব।
বাংলাদেশ, মানে একসময়ের অবিভক্ত ভূখণ্ড (যার সীমানা অবশ্য বার বার পরিবর্তিত হয়েছে) সেই কোনো এক সময়ে ছিল বিপুল শিল্প ও বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। বস্তুত, বাংলার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল একসময়ে প্রায় সারা পৃথিবীর শ্লাঘার বিষয়। আশ্চর্য হলেও সত্যি, এর একটি ছিল বাংলার জাহাজশিল্প। আজকের তাম্রলিপ্ত অঞ্চল, কিছুটা মোগল শাসন কেন্দ্রিক ঢাকা অঞ্চল আর মূলত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী তীরবর্তী অঞ্চল ছিল এর উৎস। পরবর্তীকালে সপ্তগ্রাম, হুগলী ও কলকাতায় এর রেশ ছিল। এর ইতিহাস দীর্ঘ, বিচিত্র এবং শেষ অবধি প্রায় গ্রিক ট্র্যাজেডির তুল্য বিয়োগান্তক পরিণতির শিকার, সৌজন্যে ইংরেজ বানিয়া ও রাজশক্তি। আজ তাকেই কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
১৯৩৫ সাল। ফ্যাসিবাদী ইতালির এবং নাৎসি জার্মানির রণহুঙ্কার যেন তখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই ১৯৩৪ সালের ২রা আগস্ট প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গের মৃত্যুর পর হিটলার নিজেই প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলর উভয় পদই দখল করে নিয়েছেন এবং নিজেকে ফ্যুয়েরার হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে ইহুদিদের উপর জার্মান নিপীড়ন। সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য পূরণে মুসোলিনির প্রথম প্রয়াস হল আবিসিনিয়া দখল করা। ইতালিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্থান অনুসন্ধান, খাদ্য সংস্থান, শিল্পের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ, ও উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রী বিপণনের উপযুক্ত বাজার ইত্যাদির জন্য আবিসিনিয়া তথা ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা দখল করার জন্য ইতালি সচেষ্ট ছিল।