সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

পুরনো লেখা

না, ব্যাপারটার সাথে খাওয়াদাওয়া বা নামী কোনও রেস্তোরাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। ‘খাইবার’ একটা জাহাজের নাম। ব্রিটিশ ভারতীয় নৌবাহিনীর এক যোদ্ধা ক্রুজার এইচ.এম.আই.এস খাইবার। প্রখ্যাত নাট্যকার উৎপল দত্ত “কল্লোল” নামে একটা নাটক লিখেছিলেন। সেই নাটক মঞ্চেও আলোড়ন ফেলেছিল প্রবলভাবে। ১৯৪৬-এর নৌবিদ্রোহের উপর লেখা এই নাটক প্রবল বিতর্ক তোলে। প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় জাতীয় নেতাদের ভূমিকাকে। ষাটের দশকের গণ আন্দোলনে উত্তপ্ত বাংলায় এই নাটক হয়ে দাঁড়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম অস্ত্র। ভারতের স্বাধীনতা ঝুটা না সত্যি এই প্রশ্ন তোলার সাথে সাথে ‘কল্লোল’ প্রশ্ন তোলে ভারতের রাষ্ট্রচরিত্র নিয়েও। এই নাটক রচনা ও পরিচালনার কারণে উৎপল দত্তকে রাষ্ট্রীয় রোষানলে পড়তে হয়। জেল খাটতে হয় স্বাধীন ভারতবর্ষে।
১৮৯০-এর ২৮ নভেম্বর সাবিত্রীবাই ফুলে তাঁর বিগত পঞ্চাশ বছরের বন্ধু ও সহকর্মী, স্বামী ও শিক্ষক মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলের শেষযাত্রা ও শেষকৃত্যের লোকাচার নিজের হাতে সম্পন্ন করেন — নিজেই এগিয়ে এসে জলভরা ঘট হাতে শেষযাত্রায় সামনে থাকেন ও চিতায় আগুন দেওয়ার কাজ নিজ হাতেই করেন। ২০০৮ সালে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’ কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তকে এই ঘটনাকে “ভারতের বিগত হাজার বছরের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম কোনও নারীর হস্তে শেষকৃত্যের লোকাচার সম্পন্ন হল” বলে বর্ণনা করা হয়েছে।১ ব্রাহ্মণ্যবাদী বিধানে শেষকৃত্যের অধিকার কেবলমাত্র পুরুষ উত্তরাধিকারীর ওপরই অর্পিত। সাবিত্রীবাই এই পিতৃতান্ত্রিক বিধান অমান্য করেছিলেন।