সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

পুরনো লেখা

"তুমি যে হাসপাতালে সেটা শুনে খুব প্রীত হলাম। আমৃত্যু যেন যন্ত্রণা ভোগ কর সেই কামনা করি, নির্বোধ!" চিঠিটার নীচে স্বাক্ষর করেছিলেন 'একজন ইংলিশম্যান' । ১৯১৩ সালের জুনে এমিলি উইল্ডিং ডেভিডসন যখন হাসপাতালের মৃত্যু শয্যায়, তখন তাঁর কাছে এই চিঠি আসে। এমিলি ডেভিডসন, ইংল্যান্ডে নারীদের ভোটাধিকারের আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী। কয়েকদিন আগে তিনি এপসমের রাজকীয়, সম্ভ্রান্ত ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ভোটাধিকার চেয়ে বিক্ষোভ করতে গিয়েছিলেন। ঘোড়ার লাথিতে আহত হন। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেই জ্ঞান আর ফেরেনি। ৮ই জুন মারা যান তিনি। মৃত্যুশয্যায় শুয়েও গালাগালি ভরা যে ধরণের চিঠি তিনি পেয়েছিলেন, তা থেকে স্পষ্ট, কীরকম ঘৃণা, বিদ্বেষ এবং হুমকির সম্মুখীন হতেন ভোটাধিকারের আন্দোলনের নারীরা।
[২০২১ সাল নেতাজী সুভাষচন্দ্রের জন্মের ১২৫ তম বার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে বাংলা ও দেশজুড়ে তাঁকে নিয়ে নতুন করে চর্চার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সুভাষচন্দ্র সম্পর্কে চর্চার সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধান ও তাঁকে নিয়ে গড়ে ওঠা নানা মিথ ও রহস্য কাহিনী। আই. এন. এ. র বীরত্বপূর্ণ লড়াই বা মহানিষ্ক্রমণ নিয়ে কিছু চর্চার বাইরে তাঁর রাজনীতির বিভিন্ন পর্বকে ইতিহাসের পটে রেখে সামগ্রিক আলোচনা বেশ কম। কয়েকটি পরস্পর সম্পর্কিত লেখায় আমরা সেই চর্চার দিকে জোর দিতে চাই। বর্তমান নিবন্ধটিতে তার সূচনা। এখানে আলোচিত হয়েছে বিশ শতকের বিশের দশকে তরুণ সুভাষচন্দ্র যখন আই. সি. এস. এর চাকরী ছেড়ে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, তখনকার রাজনৈতিক ইতিহাস। এই পর্বে সুভাষ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অনুগামী।]