প্রাচীন মিশরের সমুদ্র বন্দরে পাওয়া গেছে প্রাচীন বুদ্ধ মূর্তি
সম্প্রতি পোলিশ এবং আমেরিকান গবেষকদের একটা দল দক্ষিণ-পূর্ব মিশরের লোহিত সাগরের উপকূলে অবস্থিত এক প্রাচীন বন্দর শহর বেরেনিসে-তে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে পাথরের বুদ্ধ মূর্তি আবিষ্কার করেছেন। মূর্তিটির ডান পাশের অংশ এবং ডান পা নেই, ভেঙে গেছে। এর উচ্চতা ৭১ সেন্টিমিটার। বুদ্ধের মাথার চারপাশে তাঁর প্রভা এবং পাশে একটি পদ্ম ফুলের ছবি খোদাই করা আছে। বেরেনিসে সমুদ্রবন্দর কায়রো থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে এবং প্রাচীন ভারতের বন্দর শহর খাম্বাত থেকে প্রায় ৩,৮০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। খাম্বাত বর্তমান গুজরাট রাজ্যে অবস্থিত। আজকের মার্সা আলমের ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে বেরেনিসে ২৭৫ সাধারণ পূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মিশরীয় রাজা টলেমি দ্বিতীয় (২৮৩ থেকে ২৪৬ সাধারণ পূর্ব) এটির নামকরণ করেছিলেন তার মায়ের নামে।
এদের পুরাকীর্তি মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মূর্তিটি “বেরেনিসের রোমান যুগের প্রাচীন মন্দির ছিল”।
মিশরে এত পুরোনো বুদ্ধ মূর্তির আবিষ্কার রীতিমত অভাবিত। একই সঙ্গে এই আবিষ্কার প্রাচীন ভারতের সঙ্গে প্রাচীন মিশর সহ বৃহত্তর পশ্চিম এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করে। মিশরের কাউন্সিলের মহাসচিব মোস্তফা ওয়াজিরী বলেছেন, “মিশর ছিল প্রাচীন যুগের বাণিজ্য পথের কেন্দ্রে অবস্থিত। এই বাণিজ্য বন্দর রোমান সাম্রাজ্যকে ভারত সহ প্রাচীন বিশ্বের অনেক অঞ্চলের সাথে যুক্ত করেছিল।”
মন্দির খননের সময়, প্রত্নতাত্ত্বিকরা রোমান সম্রাট মার্কাস জুলিয়াস ফিলিপাসের (২৪৪ থেকে ২৪৯ সাধারণ অব্দ) সময়কালের সংস্কৃতে লেখা একটি শিলালিপিও আবিষ্কার করেন। মিশনের আমেরিকান দলের পরিচালক স্টিভেন সাইডবোথাম বলেছেন, “মনে হচ্ছে শিলালিপিটি ও বুদ্ধের মূর্তিটি একই সময়কালের ছিল না, বুদ্ধের মূর্তি সম্ভবত অনেক পুরোনো। কারণ একই মন্দিরে অন্যান্য শিলালিপি ছিল প্রাচীন গ্রীক ভাষায় এবং সেগুলো প্রথম শতাব্দীর প্রথম দিকের।”
ভারতীয় সাম্রাজ্য সাতবাহনদের দ্বিতীয় শতাব্দীর দুটি মুদ্রাও পাওয়া গেছে।
মিশনের পোলিশ দলের ডিরেক্টর মারিউস গুয়াজদা বলেছেন যে, বুদ্ধ মূর্তিটি সম্ভবত ইস্তাম্বুলের দক্ষিণে একটি এলাকা থেকে নেওয়া পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বা বেরেনিসে-তে স্থানীয়ভাবে ভাস্কর্য করা হয়েছে। সম্ভবত ভারতের এক বা একাধিক ধনী বণিক মন্দিরে এই মূর্তি উৎসর্গ করা হয়েছে।
প্রাচীন ভারতের সঙ্গে প্রাচীন পৃথিবীর সংযোগের ইতিহাসের একটি অধ্যায় হয়তো লেখা হবে এই বুদ্ধ মূর্তির থেকে।
খবরটি বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন নীচের লিঙ্কে।
–মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
Buddha idol may be 300 bce, but India had interaction with Egypt much earlier. I hope you devote some time on it. Egypt er Bhaskrya te Mayur and Padma ful dekha jai.
ভাস্কর্যে পদ্মফুলের ব্যবহার মিশর থেকে ভারতে এসেছে ইরান হয়ে। যেটুকু যোগাযোগ ছিল সেটা ইরানের মাধ্যমে। সরাসরি যোগাযোগ শুরু প্রথম খৃষ্টপূর্ব শতাব্দীর পর- মূলত রোমান বাণিজ্যের মাধ্যমে