৩১,০০০ বছর আগে বোর্নিওতে সম্ভবত প্রথম অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল
বিশ্বাস হয় না যেন। প্রাগৈতিহাসিক শিকারী-সংগ্রহকারীরা আগের স্বীকৃত নিদর্শনের হাজার হাজার বছর আগে সফল অস্ত্রোপচার করেছিল। প্রায় ৩১,০০০ বছর আগে, একজন দক্ষ প্রাগৈতিহাসিক সার্জন বোর্নিওতে একটি শিকারী-সংগ্রাহকের নীচের পা কেটে বাদ দিয়েছিল। এখন, প্রত্নতাত্ত্বিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, এই অস্ত্রোপচারটি প্রাচীনতম অঙ্গচ্ছেদ চিকিৎসা।
পুরনো প্রস্তর যুগের সার্জনের দক্ষতা ছিল বেশ প্রশংসনীয়; রোগী অস্ত্রোপচারের পরে অতিরিক্ত ছয় থেকে নয় বছর বেঁচে ছিল। ওই ব্যক্তির দাঁতের এনামেলের রেডিওকার্বন ডেটিং থেকে ৭ সেপ্টেম্বর নেচার জার্নালে অনলাইনে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, “এটি এক আশ্চর্যের বিষয় যে এই প্রাচীন সংগ্রাহক শৈশবকালীন খুব গুরুতর এবং জীবন-মরণ টালমাটাল করা অপারেশন থেকে বেঁচে গিয়েছিল, ক্ষতটি পায়ের শুকিয়ে যাওয়া অংশ হয়ে যায়। সে সুস্থ হয়ে গেছিল এবং তারপরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সে বছরের পর বছর বেঁচে ছিল,” গবেষণার সহ-লেখক মেলান্দ্রি ভলোক, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জৈব প্রত্নতত্ত্ববিদ একটি বিবৃতিতে বলেছেন।
কঙ্কালটি থেকে বোঝা যায় যে, একজন বালকের নীচের বাম পা হাঁটুর নিচে দক্ষতার সাথে কেটে দেওয়া হয়েছিল এবং রক্তক্ষরণ ও সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তা সফলভাবে নিরাময় হয়েছিল। একটা সফল অপারেশন করার জন্য, প্রাগৈতিহাসিক সার্জনদের অবশ্যই শারীরবৃত্তির জ্ঞান কিছুটা থাকতে হয়েছে। তারা কেবল হাড়ই নয়, পেশী, শিরা এবং স্নায়ুগুলিকে এমনভাবে কেটেছে যাতে রোগীর রক্তক্ষরণ না হয় বা মারা না যায়। তাদের স্ক্যাল্পেলগুলি সম্ভবত সে যুগে প্রচলিত চার্ট পাথরের তৈরি যা অত্যন্ত ধারালো অগ্রভাগ তৈরি করতে পারে। পরে সার্জনরা হয়তো জায়গাটা ছেঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে যদিও তার স্পষ্ট প্রমাণ নেই এবং তাই অজানা সম্ভাবনা থেকে যাবে।
যাইহোক, যা নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে তা হল যে রোগী পোস্ট-অপারেশন যত্ন পেয়েছে। পায়ের হাড়ের বৃদ্ধি দেখায় যে রোগী, খুব বেশি হয়তো হাঁটা চলা করত না, তবুও অপারেশনের পর দীর্ঘদিন বেঁচে ছিল। সম্ভবত তার সুস্থ হওয়ার সময় এবং তার পরেও ব্যাপকভাবে নিজের গোষ্ঠীর যত্ন পেয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন যে, রোগীটি পুরুষ নাকি মহিলা, তবে উচ্চতা দেখে পুরুষের সম্ভাবনাই বেশি মনে হয়।
হয়তো সে ছিল কারও সন্তান; মা ও অন্যান্যদের যত্নে বেঁচে ছিল। তারাই ফল, কন্দ, পোড়া মাংস খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিল তাকে ।
খবরটি বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন নীচের লিঙ্কে।
–মধুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
অবিশ্বাস্! যেন গল্প মনে হচ্ছে। 31 হাজার বছর আগে!