সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ১৭৫ বছরের পথচলা

একটি বালিকা বিদ্যালয়ের ১৭৫ বছরের পথচলা

শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়

নভেম্বর ২৩, ২০২৪ ১০৫ 0

দক্ষিণবঙ্গের যশোর জেলার পুরোনো জনপদ। চারটি গ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠা এই জনপদের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কপোতাক্ষ নদ। তার এক তীরে পরপর তিনটি গ্রাম বাঁকা, রাড়ুলী, কাটিপাড়া, অপর তীরে খেঁশরা, সংক্ষেপে আর. কে. বি. কে। রাড়ুলী গ্রামে জন্মেছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, কাটিপাড়া মাইকেল মধুসূদন দত্তের মামাবাড়ি, বাঁকা গ্রামে নাট্যকার মনোজ মিত্র ও লেখক অমর মিত্রের মামাবাড়ি। খেঁশরা বর্ষীয়ান বিমা কর্মচারী আন্দোলনের নেতা চন্দ্রশেখর বসুর পিতৃভূমি। এমনই বর্ধিষ্ণু ওই গ্রামগুলো।

রাড়ুলী ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয়

বাঁকা থেকে রাড়ুলীতে ঢুকতে পথে ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয়টিই প্রথমে পড়বে, তারপর প্রফুল্লচন্দ্রের বাড়ি, শেষে শতবর্ষ অতিক্রান্ত রাড়ুলী সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাংক। রাড়ুলী পেরিয়ে পরের গ্রাম কাটিপাড়া—দুই গ্রামের সীমানায় ছেলেদের স্কুল আর. কে. বি. কে. হরিশচন্দ্র ইনস্টিটিউশন৷ ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র—শতবর্ষ অতিক্রান্ত এই বিদ্যালয়। ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন প্রফুল্লচন্দ্রের পিতা হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরী। স্কুলটি স্থাপিত হয় ১৮৫০ সালে—এই বছর ১৭৫ বছরে পদার্পণ করল।

১৮৪৯ সালে কলকাতায় প্রথম মেয়েদের স্কুল তৈরি হয়—ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল, পরবর্তীকালে যা বেথুন সাহেবের নামে নামাঙ্কিত হয়ে পরিচিত হয় বেথুন স্কুল নামে। অবশ্য এর অনেক আগেই ১৮৪৭ সালে চব্বিশ পরগনার বারাসাতে কালীকৃষ্ণ মিত্রের উদ্যোগে একটি মেয়েদের স্কুল তৈরি হয়েছিল, যেটির বর্তমান নাম কালীকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়। ১৮৪৮ সালে চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুরের নিবাধুই গ্রামে স্থাপিত হয়েছিল আর একটি মেয়েদের স্কুল।

রাড়ুলী ভুবন মোহিনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়

কলকাতা থেকে বহু দূরে রাড়ুলী গ্রামে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করা হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরীর এক অক্ষয় কীর্তি বলা চলে।

‘আত্মচরিত’-এ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র লিখেছেন (প্রথম প্রকাশ: ১৯৩৭), ‘আমার পিতা ১৮৫০ খ্রী: অর্থাৎ আমার জন্মের এগার বৎসর পূর্বে নিজের জমিদারিতে স্থায়ীভাবে বাস করিতে আরম্ভ করেন। তিনি “নব্য বাঙ্গলার” ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়াছিলেন। সুতরাং নিজের জেলায় শিক্ষা বিস্তারে তিনি একজন অগ্রণী ব্যক্তি ছিলেন। রাড়ুলীতে তিনিই বলিতে গেলে প্রথম বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ইহারই পার্শ্বে একটি মধ্য ইংরাজি বিদ্যালয়ও স্থাপিত হয়।’

প্রফুল্লচন্দ্র প্রথমে ইংরাজিতে তাঁর আত্মচরিত লেখেন দুটি খণ্ডে। বইয়ের শিরোনাম ‘Life and Experiences of a Bengali Chemist’, এর তিন বছর পর এই গ্রন্থের প্রথম খণ্ডটি বাংলায় তর্জমা করে ‘আত্মচরিত’ নামে প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত সাহিত্যিক ঐতিহাসিক যোগেশচন্দ্র বাগল ১৩৪০ বঙ্গাব্দের ৫ই ফাল্গুনের ‘দেশ’ পত্রিকায় বাংলার শিক্ষা-প্রসার বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লেখেন। প্রফুল্ল চন্দ্র ‘আত্মচারিত’-এ যোগেশচন্দ্রের প্রবন্ধটির কিছু অংশ উদ্ধৃত করেন। যোগেশচন্দ্রের প্রবন্ধে প্রফুল্লচন্দ্রের পিতা হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরীর বিদ্যাপ্রসারে উৎসাহর বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়েছিল। যোগেশচন্দ্র তৎকালীন পত্রিকা ‘সংবাদ প্রভাকর’ এবং ‘সংবাদ সাধুরঞ্জন’ থেকে রাড়ুলীর শিক্ষা উদ্যোগের বিষয়টি উদ্ধৃত করেন।

যোগেশচন্দ্র লিখেছিলেন,

‘উনবিংশ শতাব্দীর আরম্ভে কলিকাতায় প্রথম ইংরাজি শিক্ষার প্রবর্তন হয়। কিছু সময়ের মধ্যে এই শিক্ষা বাংলাদেশের সূদূর পল্লীতেও ছড়াইয়া পড়ে। সকালে বিদ্যোৎসাহী লোকের বড় একটা অভাব ছিল না। তাঁহাদের চেষ্টায় গ্রামে পল্লীতে ইংরাজি বাংলা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। আর একটি লক্ষ্য করিবার বিষয়, বালিকা বিদ্যালয়ও তখন নানাস্থানে স্থাপিত হইয়াছিল। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের পিতা হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরী মহাশয় নিজ রাড়ুলী গ্রামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়া সেখানকার বালক বালিকাদের শিক্ষার সুবিধা করিয়া দেন। ‘সংবাদ প্রভাকর’ এবং ‘সংবাদ সাধুরঞ্জন’ হইতে এখানে যে সব অংশ উদ্ধৃত হইল তাহাতেও সে যুগে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রচারের উদ্যোগে আয়োজন সম্বন্ধে যথেষ্ট আভাস পাওয়া যাইবে।’

রাড়ুলী অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তার [ সংবাদ প্রভাকর, ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৮/ ২৯ মাঘ, ১২৬৪ ]

‘কিয়দ্দিবস অতীত হইল যশোহরের অন্তর্গত রাড়ুলীগ্রাম নিবাসী শ্রীযুক্ত বাবু হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরী মহাশয় এবং অন্যান্য কতিপয় মহোদয়গণের প্রযত্নে প্রোক্ত রাড়ুলী পল্লীতে গবর্নমেন্ট সাহায্যকৃত একটি স্বদেশীয় ভাষার বিদ্যালয় সংস্থাপিত হয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়াবধি বালক বালিকারা যথাবিধিক্রমে শিক্ষাপ্রাপ্ত হইয়া আসিতেছে এবং সুশিক্ষার প্রভাবে তাহারা স্ব স্ব পঠিত বিষয়ে একপ্রকার ব্যুৎপন্নও হইয়াছে বটে, ফলত: অতি অল্পকালের মধ্যে এই রাড়ুলী বিদ্যালয়স্থ ছাত্রেরা যেরূপ কৃতকার্য হইয়াছে, অন্যত্র প্রায় সেরূপ শুনিতে পাওয়া যায় না। … বিদ্যালয়ের সমুন্নতির বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করিতে হইলে এই বলা উচিত যে, বিদ্যালয়ের পণ্ডিত শ্রীযুক্ত মোহনলাল বিদ্যাবাগীশ মহাশয়ের সুনিয়মে শিক্ষাপ্রদান ও প্রস্তাবিত বাবু হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরী মহাশয়ের অবিচলিত অধ্যবসায় এবং গাঢ়তর উৎসাহই তাহার প্রধান কারণ।

[ সংবাদ সাধুরঞ্জন ২৪ মে, ১৮৫৮/ ১২ জ্যৈষ্ঠ, ১২৬৫ ]

‘ … বিদ্যালয় সংস্থাপনাবধি দিন গণনা করিলে ইহার বয়:ক্রম অধিক বৎসর অতীত হয় নাই, তাহার তুলনা এরূপ হওয়া কেবল উপদেষ্টাগণের সদুপদেশ ও শিক্ষা প্রণালীর সুকৌশলের মাহাত্ম্যই স্বীকার করিতে হইবে। সংস্কৃত কলেজের সুশিক্ষিত সুবিজ্ঞ বাবু মোহনলাল বিদ্যাবাগীশ শিক্ষাবিধান করিতেছেন। গবর্নমেন্ট প্রদত্ত সম্পাদকীয় ভার শ্রীযুক্ত বাবু হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরী মহাশয় গ্রহণ করিয়াছেন..’

যোগেশচন্দ্র আরও লিখেছেন,

‘হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরী কিরূপ বিদ্যোৎসাহী ও স্ত্রী শিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন একটি ঘটনা হইতে তাহা বেশ বুঝা যায়। হরিশচন্দ্র ১৮৫৮ সন হইতে মাঝে মাঝে কলিকাতায় আসিয়া বাস করিতেন। তখন তিনি তাঁহার সহধর্মিনী ভুবনমোহিনীকে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্বয়ং ভুবনমোহিনীকে বাংলা পাঠ শিক্ষা করিতে সহায়তা করিতেন।

হরিশচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি পরবর্তীকালে বালিকা বিদ্যালয়ে পরিণত হইয়াছে। বিদ্যালয়টি এখন একটি দ্বিতল গৃহে অবস্থিত। হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র বিশ্ববিশ্রুত আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় রাড়ুলী অঞ্চলে শিক্ষা প্রসারের জন্য বহু সহস্র টাকা দান করিয়াছেন। এই টাকার উপস্বত্বের কতক অংশ বালিকাদের শিক্ষার জন্য ব্যয়িত হইয়া থাকে। বিদ্যালয়টি এখন আচার্য রায় মহাশয়ের মাতা ভুবনমোহিনীর নামে।’

ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ভিজিটরস বুকে প্রফুল্লচন্দ্রের মন্তব্য

এহেন স্মৃতিবিজড়িত বালিকা বিদ্যালয়টি ১৭৫ বছরে পদার্পণ করেছে। পিতার প্রতিষ্ঠিত, মাতার নামে নামাঙ্কিত বালিকা বিদ্যালয়টির বিষয়ে আচার্য রায় ছিলেন বিশেষ সংবেদনশীল। এই বিদ্যালয়ের উন্নতিকল্পে তাঁর প্রত্যক্ষ সহায়তা ছিল। প্রফুল্লচন্দ্র অধ্যাপনাকালে প্রতি বছর গরমের ছুটিতে নিজগ্রাম রাড়ুলীতে এক মাস অতিবাহিত করতেন। এই সময়ে পূর্বোল্লিখিত চারটি গ্রামের মানুষের সঙ্গে তাঁর নিত্য যোগাযোগ ঘটত। তাঁদের অভাব অভিযোগ, শিক্ষাদীক্ষা, নানা বিষয়ে তিনি তাঁদেরই একজন হয়ে উঠতেন। ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয় এবং তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত আর. কে. বি. কে. হরিশচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের পঠনপাঠন কেমন চলছে এটাও ছিল তাঁর নিয়মিত চর্চার বিষয়।

২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৯ ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ভিজিটরস বুকে প্রফুল্লচন্দ্রের যে লেখাটি পাওয়া গেছে, সেইটি এখানে উদ্ধৃত করছি।

‘অদ্য ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করিয়া বিশেষ সন্তুষ্ট হইলাম। বিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা ৫১। বিদ্যালয়ের শিক্ষার ধারা পরীক্ষা করিয়া ভালই মনে হইল। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষয়িত্রী মহাশয়ার বাসা বিদ্যালয়ের সংলগ্ন থাকাই উচিত। এতদ্ব্যতীত বিদ্যালয়ের একটি অফিস ঘরও প্রয়োজন। বর্তমান দালানের দোতালায় একখানি ঘর করিবার মালমশলা কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করিয়াছেন কিন্তু নগদ অর্থের অভাবে কার্য্যে অগ্রসর হইতে পারিতেছেন না। বস্তুতঃ এইরূপ একটি ঘর করিতে পারিলে শিক্ষয়িত্রী র থাকিবার ব্যবস্থা ও অফিস ঘরের সমস্যা সহজেই পূরণ হইতে পারে। বিদ্যালয়ের একটি পায়খানারও বিশেষ অভাব। আমি আশা করি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভাব পূরণ করিতে গভর্নমেন্ট ও ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড হইতে যথোচিত সাহায্য পাইবেন।

আমি এই বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি।

শ্রী প্রফুল্লচন্দ্র রায়

২০/২/৩৯’

ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ভিজিটরস বুকে বিজ্ঞানীদের মন্তব্য

বহু স্বনামধন্য ব্যক্তির পদস্পর্শে ধন্য হয়েছে প্রাচীন এই বালিকা বিদ্যালয়। প্রফুল্লচন্দ্র শেষবারের মতো গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাসে। ১৯৪৪ সালের জুন মাসে কলকাতার সায়েন্স কলেজে তাঁর জীবনাবসান হয়। শেষবারের মাতৃভূমি যাত্রায় তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন প্রিয় ছাত্ররা—মেঘনাদ সাহা, প্রফুল্লচন্দ্র মিত্র, বীরেশ চন্দ্র গুহ, বীরেশ্বর মজুমদার প্রমুখ। ২৪ এপ্রিল ১৯৪৩ জন্মভূমির মানুষ আচার্যকে সম্বর্ধনা দিয়েছিলেন। তাঁর ছাত্ররা প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের পিতার প্রতিষ্ঠিত এই বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছিলেন ২৬ এপ্রিল, ১৯৪৩। বিদ্যালয়ের ভিজিটরস্ বুকে লেখা আছে সে মন্তব্য।

‘অদ্য রাড়ুলী ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করিয়া অত্যন্ত প্রীতিলাভ করিলাম। স্কুল বহু পুরাতন, প্রায় এই স্কুলের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের সময় হইয়া এল। এই স্কুল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্রের মাতৃদেবীর নামে প্রতিষ্ঠিত এবং আচার্যদেবের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্নেহরসে পরিবর্ধিত। উত্তরোত্তর এই স্কুলের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করিতেছি।

শ্রী মেঘনাদ সাহা ২৬/৪/৪৩

শ্রী প্রফুল্লচন্দ্র মিত্র ২৬/৪/৪৩

বীরেশচন্দ্র গুহ ২৬/৪/৪৩

শ্রী বীরেশ্বর মজুমদার ১২/১/৫০

বর্তমানে এই বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়েছে। আগের দ্বিতল ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় পূর্বতন ভবনের পিছন দিকে নির্মিত হয়েছে ত্রিতল ভবন। এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীসংখ্যা বর্তমানে পাঁচ শতাধিক। ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠে একটি বহুতল ভবন (নির্মাণাধীন) ছাড়া অবকাঠামোর বিশেষ উন্নয়ন হয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার ২০২০ সালে বলেন, ‘জাতীয়করণ না হওয়ায় দেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী পি.সি রায়ের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।’

বাংলাদেশ সরকার এই বিদ্যালয়টিকে ঐতিহ্যমন্ডিত (হেরিটেজ) বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করুক এই কামনা করি।

সাহায্যকারী সূত্র:

১. আত্মচরিত, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, দে’জ পাবলিশিং, ২০১১

২. কোরক সাহিত্য পত্রিকা, শারদ সংখ্যা, ২০২৩, ‘শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয়’

৩. কপোতাক্ষ, ৪০ তম বর্ষ, ৯৫ তম সংখ্যা

৪. উপমহাদেশের প্রথম ভুবন মোহিনী বালিকা বিদ্যালয়টি ১৭০ বছরেও জাতীয়করণ হয়নি, NDN News, February 12, 2020

বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী ও বিজ্ঞান লেখক। উল্লেখযোগ্য সম্পাদিত বই: প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের প্রবন্ধ সংগ্রহ, স্মৃতি - সত্তায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র, প্রফুল্লচন্দ্র রায় : একটি সংক্ষিপ্ত পরিক্রমা, বিজ্ঞান বিস্ময়, নানা চোখে বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, প্রবাসীর প্রফুল্লচন্দ্র ইত্যাদি

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।