সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

লেখক: সুদীপ্ত পাল

সুদীপ্ত পাল
সুদীপ্ত একজন পরিসংখ্যানবিদ, প্রাবন্ধিক ও ঔপন্যাসিক। ইতিহাস ও যৌন সংখ্যালঘু মানুষদের বিষয়ে লেখেন। কর্পোরেটে প্রান্তিক লিঙ্গপরিচয়ের মানুষদের জন্য সাপোর্ট গ্ৰুপ ও কর্মসংস্থান তৈরির কাজে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সুদীপ্ত কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইন্স্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন। শিল্পক্ষেত্রে ডাটা সাইন্স এবং বিহেভিওরাল ইকোনমিকস নিয়ে কাজ করেন।
পতঞ্জলির মহাভাষ্য থেকে শুরু করে চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের পরিব্রাজনবৃত্তান্ত, মহাভারত থেকে শুরু করে বাংলার অন্নদামঙ্গলের বিদ্যাসুন্দর উপাখ্যান অবধি বহু সাহিত্যে তামিলনাড়ুর একটি সমৃদ্ধ জনপদের কথা জানতে পারা যায়। তার নাম কাঞ্চীপুরম। ১০০০-১৩০০ বছর পুরানো এতগুলি ফ্রি-স্ট্যান্ডিং স্থাপত্য এরকম অক্ষত অবস্থায় এত বছর ধরে টিকে থাকার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। সেই বিচারে কাঞ্চীপুরম রোম আর খাজুরাহের সঙ্গে তুলনীয়। ভারতের সবচেয়ে পুরানো ফ্রি-স্ট্যান্ডিং স্থাপত্যগুলির মধ্যে পড়ে গুপ্ত ও চালুক্যদের বিভিন্ন মন্দির, আর তারপরেই পল্লব স্থাপত্য। পল্লব স্থাপত্য দেখার দুটো সেরা জায়গা হল মহাবলীপুরম (সপ্তম শতক) আর কাঞ্চীপুরম (অষ্টম শতক)। কাঞ্চীপুরমে আছে চোল আর বিজয়নগর যুগের মন্দিরও।
কর্ণাটকের ভীমা নদীর তীরে কলবুর্গি (গুলবর্গা) জেলায় সন্নতি গ্ৰামে চন্দ্রলাম্বা পরমেশ্বরী মন্দির কমপ্লেক্স। বহু পুরানো অনেকগুলো দেবী মন্দিরের সমষ্টি। এদের মধ্যেই ছিল এক কালী মন্দির। ১৯৮৬ সালে তার ছাদ ভেঙে পড়ে। মেঝে ফেটে যায়। ভাঙাচোরা অবশেষ পরিষ্কার করতে করতে বেরিয়ে আসে কিছু শিলালেখ- সম্রাট অশোকের। দেখা যায় কালীমূর্তির বেদীটি ছিল আসলে অশোকের শিলালেখ। এখান থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদরা আভাস পান এই মন্দিরের আশেপাশে ঐযুগের আরো বৌদ্ধ পুরাবস্তু থাকার। আরো খোঁড়াখুঁড়ির পর আরো প্রত্নসম্পদ পাওয়া যায়, এবং ইঙ্গিত পাওয়া যায় কাছেই কোনো বড়মাপের বৌদ্ধ স্তূপের অবশেষ আছে।