সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

লেখক: অনির্বাণ কুন্ডু

অনির্বাণ কুন্ডু
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। মৌলিক কণা নিয়ে গবেষণা করেন। ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহী। ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের ফেলো।
স্বাধীনতা-পূর্ব যুগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ইতিহাসে আরো অনেক ব্যক্তিত্বের নাম পাওয়া যায়। তাঁদের কয়েকজনকে আমরা ভুলে গেছি, কয়েকজনকে হয়তো মনে রেখেছি। তাঁরা সবাই কিন্তু ভুলে যাওয়ার মতো মানুষ নন। এ কথা অনস্বীকার্য যে রামন, মেঘনাদ বা সত্যেন্দ্রনাথের মতো মৌলিক অবদান তাঁরা বিজ্ঞানে রাখেননি; কিন্তু আজকে দেশের প্রায় যে কোনো বিজ্ঞানীর থেকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁদের পরিচিতি মোটেই কম ছিল না। সব থেকে বড় কথা হল এঁদের প্রত্যেককেই নিজেদের গবেষণাগার একেবারে গোড়া থেকে তৈরি করতে হয়েছিল, দেশে তাঁদের পথ দেখানোর মতো বিজ্ঞানী বিশেষ কেউ ছিলেন না। আমাদের লেখাতে আগে বিভাগের এই সমস্ত ব্যক্তিত্বের নাম এসেছে, এই পর্বে আমরা তাঁদের কাজের খুব সংক্ষিপ্ত পরিচয় রাখব। তবে শুরু করব এমন একজনের কথা দিয়ে যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো পড়ানোর সুযোগ পাননি।
আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের দেশে এসেছে পশ্চিমি দুনিয়া থেকে, আজও দেশের মাটিতে তার শিকড় খুব দৃঢ় নয়। তাই ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে তার ইতিহাস সাধারণত কয়েকজন বিজ্ঞানীর জীবন ও কাজ এবং বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের বর্ণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ। জগদীশচন্দ্র বসু, সি ভি রামন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেঘনাদ সাহা, হোমি ভাবার মতো শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের উপর লিখিত বইয়ের সংখ্যা কম নয়। আধুনিক যুগে বিস্মৃতপ্রায় হলেও নিজেদের সময়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুপরিচিত বিজ্ঞানীদের নিয়েও কাজ শুরু হয়েছে, এঁদের মধ্যে পড়বেন কে এস কৃষ্ণন, দেবেন্দ্রমোহন বসু, শিশিরকুমার মিত্র, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, ডি ডি কোসাম্বি, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের মতো বিজ্ঞানীরা। এঁরা সবাই কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, অনেকেই আবার নিজের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন।