সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

সাম্প্রতিক লেখা

১৯৩৫ সাল। ফ্যাসিবাদী ইতালির এবং নাৎসি জার্মানির রণহুঙ্কার যেন তখন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই ১৯৩৪ সালের ২রা আগস্ট প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবার্গের মৃত্যুর পর হিটলার নিজেই প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলর উভয় পদই দখল করে নিয়েছেন এবং নিজেকে ফ্যুয়েরার হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে ইহুদিদের উপর জার্মান নিপীড়ন। সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য পূরণে মুসোলিনির প্রথম প্রয়াস হল আবিসিনিয়া দখল করা। ইতালিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্থান অনুসন্ধান, খাদ্য সংস্থান, শিল্পের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ, ও উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রী বিপণনের উপযুক্ত বাজার ইত্যাদির জন্য আবিসিনিয়া তথা ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা দখল করার জন্য ইতালি সচেষ্ট ছিল।
বোর-সমারফেল্ড-এর পরমাণু মডেল আপাতভাবে পরমাণুর গঠন, স্থায়িত্ব ও বর্ণালীসমূহের কারণ ব্যাখ্যা করলেও একটা ব্যাপারে তখনও প্রশ্ন ছিল। পরমাণুর কেন্দ্রীন সুস্থিত থাকে কী করে? ধনাত্মক আধান সমন্বিত একাধিক প্রোটন কণাগুলোতো একে অপরকে কুলম্বীয় বিকর্ষণ বলের কারণে দূরে ঠেলবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীনের মতো ক্ষুদ্র জায়গায় একজোট হয়ে থাকার পরিবর্তে তাদের একে অপরের থেকে ছিটকে সরে যাবার কথা। কিন্তু এমনটা হয় না, কেন? নিশ্চয়ই এমন কোনো বল বা force আছে যা কুলম্বীয় বল বা তড়িৎচুম্বকীয় বলের থেকে বেশি শক্তিশালী। এই বলের নাম দেওয়া হল, Strong Interactive Force বা তীব্র মিথস্ক্রিয়া বল—সহজ ভাষায় তীব্র বল। দেখা গেল, এই বলের তীব্রতা মহাকর্ষ বা তড়িৎচুম্বকীয় বলের তুলনায় অনেক বেশি হলেও এর সীমা বা range খুবই কম। এর প্রভাব পরমাণুর মধ্যে, বলতে কী, কেন্দ্রীনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।