সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

ইতিহাস তথ্য ও তর্কর উপস্থাপনায়, প্রকাশিত হয়েছে ‘বঙ্গ ইতিহাস প্রবাহ’

সাম্প্রতিক লেখা

নক্ষত্রদের পূর্ণাঙ্গ জীবনীটা প্রায় লিখেই ফেলেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নক্ষত্রদের জন্ম-রহস্য থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত, প্রায় পুরো যাত্রাপথের ছবিটাই বর্ণনা করতে সক্ষম হয়েছেন আজ তারা। সেই বর্ণনায় যে কিছুমাত্র ভুল নেই বা সেই দাবির সবটাই যে সঠিক এমনটা অবশ্য বলা যায় না। তবে আমাদের মতো আমজনতার সাধারণ কৌতূহল নিবৃত্তির প্রশ্নে সেই ধোঁয়াশাটুকু বড়ো কোনো অন্তরায় নয়। নক্ষত্রদের জীবনী বোঝার প্রশ্নে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য এই ধোঁয়াশাটাই আবার জমাট অন্ধকার বলেও মনে হতে পারে। মানে, কিছু বিষয় নিয়ে কিছুই যেন বোধগম্য হতে চায় না। ‘নিউক্লিয়র পাস্তা’ নামটা শুনে খানিকটা যেন সেই রকমই দশা আমাদের। নিউক্লিয়র পাস্তা নামে সেই বিখ্যাত ইতালীয় প্রস্তুতি ‘পাস্তা’র কথাই মনে পড়ে সবার আগে, তাই না? তাই যদি হবে, তাহলে ‘নিউক্লিয়র’ শব্দটা আবার আগে জুড়েছে কেন?
দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত বাংলার কাশীপুর, আজ থেকে প্রায় চারশ বছর আগে সুবর্ণরেখা নদীর কোলে ঘন অরণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। অস্ট্রো-এশিয়াটিক জনগোষ্ঠী এবং দ্রাবিড় ভাষাভাষী মানুষের সহাবস্থান আর মিশ্রণে গড়ে ওঠা আরণ্যক গ্রামীণ সভ্যতা কিন্তু এই চারশ বছর আগেও শুধুই আরণ্যক ছিল না। এই দক্ষিণ–পশ্চিম সীমান্ত বাংলা হাজার হাজার বছর ধরে বারবার রূপান্তরিত হয়েছে নতুন নতুন বিশ্বাসের টানাপোড়েনে। এখানে এসেছেন জৈনরা, পরবর্তীতে বৌদ্ধরা। ফলে লৌকিক ধর্মের সঙ্গে মিশেছে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্ম। গুপ্ত যুগে যখন তথাকথিত ব্রাহ্মণ্য ধর্ম তার সর্বগ্রাসী রূপ নিয়ে দেখা দিল তখন এই অঞ্চলও সেই আঁচ থেকে বাইরে ছিল না। এদিকে এই অঞ্চলের আদি অধিবাসীদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণে তথাকথিত সনাতন ধর্মের আওতায় এসেছেন কিংবা আসতে বাধ্য হয়েছেন।